নির্মম হীন কাজে অপরের দুঃখ মাঝে
কখনো যদি সুখও হয়
অন্তর চোখে দেখো সত্যিটা মনে রেখো
সেই পাওয়া সুখই সব নয়।
অন্যের হাহাকারে ভেসে যাবে বহুদূরে
তোমার পাওয়া সুখ সব
মানুষ ও পরিবেশ দিনে দিনে করে শেষ
মানুষের নামে হবে দানব।
পরিবেশ করিলে ক্ষয় ধরিত্রীর ধূসর সময়
জেনো খুবই সন্নিকট
প্রলয়ংকরী দাবানলে পৃথিবীটা যাবে জ্বলে
অচিরে শুকা’বে জলতট।
ভেবো না সে দুর্দিনে তুমি রবে দুঃখ বিনে
আনন্দে যাপিবে সময়
ক্ষণিকের লোভ লাভে মন যারে সুখ ভাবে
দুঃখের বীজ তাতে রয়।
হৃদয়ের সুর, গান হিংসা করে নির্বাণ
লোভে যদি মরে যায় হৃদয়
শুধু শব্দের বুননে দানবের মননে
কবিতার জন্ম কি হয় ?
সৎ পথ ছুড়ে ফেলে যদিও সম্পদ মেলে
নেবে তা নরকে তোমাকেই
জন্ম নিয়ে মনুষত্বে হারা হবে পশুত্বে?
এ ভাবে নিজেকে হারাতে নেই।
মানুষ, পশু, প্রকৃতি সুখ, দুঃখ, প্রেম, স্মৃতি
যে হৃদয়ে পায় না স্থান
যদি এ ধরাও তার হয় তবু সে বিষাদ বিজয়
বাজে না হৃদয়ে শান্তির গান।
ভোগের পেয়ালা ছেড়ে মানবতার পতাকা নেড়ে
লেট’স বি দ্যা হিউম্যানিটি'স নার্স
(এসো করি মানবতার সেবা)
মানুষের যন্ত্রনায় সুখ-সুর মূর্ছনায়
লেট’স বি দ্যা লিজেন্ডারি মাস্টার্স।
(আনন্দ না দিলে শিল্পী কবি কে বা?)
================================
বিঃ:দ্রঃ কাব্য কৌমুদীর পঞ্চদশ কবি, সরকার মুনীর | কবির কবিতার শিরোনামগুলোঃ সুখই সব নয় ; ধরিত্রীর ধূসর সময় ; কবিতার জন্ম ; এ ভাবে নিজেকে হারাতে নেই ; বিষাদ বিজয় ; দ্যা লিজেন্ডারি মাস্টার্স | আমার আজকের অনুশীলন ছিল শিরোনামগুলো অপরিবর্তিতভাবে ব্যবহার করে একটা অর্থপূর্ণ কবিতা লেখা | এই অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে জানলাম কবি মানুষের অধিকার নিয়ে, প্রকৃতি ও পরিবেশের রক্ষণশীলতা নিয়ে, বিমূর্ততার পাশাপাশি নৈসর্গিক নৈঃশব্দে মানব মনের সৃজনশীলতা নিয়ে এবং সুরের মূর্ছনায় হৃদয়ের উৎফুল্লতা নিয়ে অপূর্ব শব্দ শৈলীতে আধুনিক কবিতা লিখে থাকেন| কবির দীর্র্ঘ জীবন, সুস্থতা এবং এই ধারার অসংখ্য কবিতা কামনা করি|
পাঠকের প্রতিঃ আমার অনুশীলনের শর্ত অনুযায়ী কবির কবিতার শিরোনামের সম্মানে দু'টি ইংরেজি বাক্য কবিতায় ব্যবহার করেছি | আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে গ্রহণ করবেন |