এক গাঁয়ে এক সাধু ছিল,  নামডাক তাঁর অতি
আশেপাশে দশটা গাঁয়ে দেখান কেরামতি।
মুগ্ধ সবাই সাধুর গুনে, গায় তাঁর গুনগান  
দশটা গাঁয়ের সবাই জানায় সাধুকে সম্মান।
তবুও সাধু মনের দুঃখে থাকেন অতি কাতর
সাধুপত্নী দেন না মোটেই কেরামতির আদর।
বলেন সদাই, মিনষের ও সব চালাক-চাতুরী
নইলে কেন হাওয়ায় উড়ে নেয় না বাহাদুরি?
মনের দুঃখে সাধু শেষে জীবন রেখে বাজি
ভাবলো হাওয়ায় উড়ে তবে দেখাই না হয় আজি।
পত্নী থেকে গোপন রেখে উড়লো সাধু হাওয়ায়
সেই উড়াটা দেখেছিলো দশটা গাঁয়ের সবাই।
সাধু পত্নীও দেখলো চেয়ে আকাশে এক সাধু
নিপুণভাবে উড়ে চলে । কী এক মহা-যাদু!


সন্ধেবেলায় সাধু এলেন আপন ঘরে ফিরে
পত্নী এলেন হর্ষ-বদন সাধুর কাছে ধীরে ।
বলেন হেসে, আজ দুপুরে থাকতে যদি ঘরে
সত্যিকারের সাধু ওড়ে দেখতে কেমন করে।
সাধু বলেন, প্রাণের বিবি তোমায় বলি আমি
যে সাধুটা উড়েছিল সেটাই তোমার স্বামী।
সাধু পত্নী রেগে বলেন, তাই তো এখন বুঝি
সেই উড়াটা ছিল নাকো কেন সোজাসুজি।