অনন্ত কাল দাঁড়িয়ে আছি তোর আসা পথ চেয়ে
আর কতদিন থাকবো এমন ওরে অচিন মেয়ে?
আসবি কবে হাসবি ভবে হৃদয় পাগল করা
উঠবে বেঁচে আবার নেচে আমার হৃদয় মরা?
আসবি বলে সাগর জলে বেঁধে কাঠের তরী
ভাবছি যে তুই এসে সেটা সোনায় দিবি ভরি।
ঈশান কোণে কাল বৈশেখীর দেখি ঘনঘটা
ঘন কালো মেঘে ঢাকে শেষ আলোকের ছটা।
সর্পিনি ঢেউ উঠিয়ে ফণা করতে আসে গ্রাস
বুকের কাঁপন পাগল নাচন রুদ্ধ করে শ্বাস।


আসবি যদি আয় না ওরে সহজ হয়ে আয়
ছন্দ-সুরে বিকেল বেলা শেষ কটা গান গাই।
নাই যদি গো ভরে তরী হোক না তবু বাওয়া
ধীর গতিতে যেটুকু নেয় মন্দ মধুর হাওয়া।
আসবি যদি থাকিস কেন রহস্যতে ঢাকা
স্বচ্ছ হয়ে আমার চোখে সরাসরি তাঁকা।
হাতের 'পরে হাতটি রেখে লজ্জা শরম নাশি
আয় না বসি গলুই 'পরে নিবিড় পাশাপাশি।
বিকেল শেষে সন্ধ্যা এসে নামুক আঁধার রাতি
দূরের গাঁয়ের কামুক বধূ নিভাক রাতের বাতি।
নীল আকাশের বুকে হাসুক চন্দ্র-তারা চেয়ে
রাতের পাখি যাক না উড়ে দূরের পথে গেয়ে।
ঢেউয়ের বুকে জোৎস্না হেসে খাক না লুটোপুটি
রাতের শেষে লাজুক রবি করুক উঠি উঠি
রবির সাথে এ প্রাণ তখন নাই যদি আর জাগে
হোক না গাওয়া ছন্দ-সুরে তোর সাথে তার আগে।