একদিন শয্যায় কাতর ছিলাম জ্বরের তাপে
আধোঘুম অস্থিরতায় অর্থহীন প্রলাপে।
তুমি এসে বসেছিলে পাশে রেখে হাত কপালে
ক্রমশ: আঙুল ডুবিয়ে মস্তিষ্কের কেশ-অন্তরালে।
সে ছিল জ্বলন্ত অগ্নির বুকে তুষার শীতলতা
এ চোখে কি দেখেছিলে তা দীর্ঘ করার ব্যাকুলতা?


তারপর বহুবার হৃদয়ের আকণ্ঠ তৃষ্ণায়
তোমার হাতের ছোঁয়ার তরে শুয়ে থেকে বিছানায়
অর্ধ-মুদিত নয়নে বেড়েছে তাপমাত্রা অপেক্ষার জ্বরে
দিয়েছো শেষে সেই প্রশান্তির ছোঁয়া বসে মোর শিয়রে।
তুমি কি বোঝোনি সে কপাল ছিল কত তাপহীন?
আমার সে ছলনা না বোঝার মতো তুমি নও অর্বাচীন!


তুমি যদি বুঝে থাকো কিছু, জেনো সে বুঝা-ই ঠিক
এ সংসারে কেউ তার মূল্য দিক বা না দিক -
আমি জানি সেই তো এ জীবনের মৃত-সঞ্জীবন
হৃদয়ের অলিন্দে বাজায় যে নির্মল সুখ-শিহরণ  
যার তৃষ্ণা হয় না নিবারিত একটি ক্ষুদ্র জীবনে
শুধু সেই ছোঁয়ার তরে বারবার আসি যেন ভুবনে।