দিনান্তের সূর্য অস্তাচলে
গোধূলির আলো খেলে দূরে নীল জলে।


এসেছিলো প্রাতে যারা রৌদ্রসিক্ত হতে
প্রমোদ উচ্ছাসে, সমুদ্র সৈকতে
অনেকেই গিয়েছে কুলায় ফিরে
কিছু গাংচিল তখনো সমুদ্র তীরে
আমারই মতো ওড়ে শুধু নিজ মগ্নতায়।


সহসা সম্বিৎ ফিরে পাই -
খ্যাপা এক খুঁটে খুঁটে দেখে সব নুড়ি
তারপরই সমুদ্রে ফেলে দেয় ছুড়ি'।
ফিসফিস করে কিছু ঠোঁট দুটি নেড়ে
তারপরই ঊর্ধ্বে চায় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে।
দেখেছিনু প্রফুল্ল তারে সেই প্রাতে
এখন দগ্ধ ত্বক, রুক্ষতা সাথে।


পায়ে পায়ে গিয়ে তার কাছে
কহিলাম, রাত্রি হতে ক্ষণকাল আছে
এখনো পাওনি খুঁজে কী সে মহাধন
যা পাওয়ার স্বপ্নে মগ্ন তোমার ওই মন?


অতিকষ্টে খ্যাপা তার নাড়িয়া অধর
কহিল ক্ষীণস্বরে - পরশ পাথর।


শুধাইলাম, কিবা তার প্রয়োজন?
জগতে আছে কত বিচিত্র ধন
সব তার করি' অবহেলা
সবকিছু স্বর্ণ করার স্বপ্নে গেলো বেলা!
ভাবিয়া মূল্যহীন যাহাকিছু ছুড়ি'
ফেলিয়াছো সারাদিন তীরে তীরে নুড়ি
তারই সাথে হয়তোবা কখন অজানায়
ছুঁড়িয়াছো স্বর্ণকণা যতটুকু চাই!


খ্যাপার নয়ন হঠাৎ করে চিকচিক
ঠোঁট দুটো নেড়ে যেন বলে ঠিক ঠিক।


সহসা ঘুরিয়া খ্যাপা খুঁজিছে আবার –
কত আর যাবে খ্যাপা? নামিছে আঁধার।