রাত্রি শেষে রবি এসে ডাকে ক্ষুদ্র শিশিরে
স্নেহ স্বরে শুধায় তারে - পাতা, ঘাসে মিশি’রে
রাত্রি শেষে কেমন আছিস ক্ষুদ্র জলকণা?
রবি-রঙে রঞ্জিত শিশির করে রবি-বন্দনা।


ধীরে ধীরে বেলা বাড়ে, শিশির যায় পুড়ে
রবির প্রতি অভিশাপ কাঁদে বুক জুড়ে।
সেই শাপে রুদ্র রবি হয় ম্রিয়মান
বেদনার রঙে হয় দিবসের তাই অবসান।


সেই রাত্রি, শিশির আবার এলে পাতা 'পরে
কহে পাতা শিশিরকে ভর্ত্সনার স্বরে,
রবি যদি নাই আসে তোর অভিশাপে
ঘাস, পাতার জীবন রবে কার আলো-তাপে?
ঝরো যদি ঘাসহীন, পাতাহীন ভূমে
জন্মতেই নিশেষ হবে বালুকার চুমে।


বুঝিল শিশির তার কণা রূপে লাবন্যে-ধারণ,
সৃষ্টি যে করে তারে সেই তার ধ্বংসের কারণ।
আজও তাই প্রতিদিন প্রাতে
হাসিমুখে খেলা করে সে রবির সাথে।
ক্ষণপরে হাসিমুখে নেয় সে বিদায়
আগামী প্রাতে রবিকে পাওয়ার প্রত্যাশায়।