চাকুরী করতে গেলে অনুমোদন লাগে
তা বলে প্রেম করলেও কি অনুমোদনের প্রয়োজন হয়?
কেউ বলে, হ্যাঁ হয় তো। দেখছো না
কেমনে ওরা দু'জনে একসাথে সম্মতি দিয়েছে
ওদের প্রেমকে। প্রতিদিনের চাকুরী জীবনকে
একটু একটু করে গুছিয়ে নিয়েছে
প্রতিটি তাকে সাজানো উপন্যাসের ফাঁকে ফাঁকে।
এ প্রেমে কোনো ক্যাজুয়াল ছুটি মেলে না,
দায়িত্ব, কর্তব্য আর মেক্-আপ দিতে দিতে
প্রেমের পথকে মসৃণ করে নিয়েছে,
ভেবেই নিয়েছে রেললাইনের সোজা সরল ট্র্যাকে
কোনো বিরতি না দিয়েই একেবারে শেষ
প্ল্যাটফর্মে থেমে বরং দেখে নেওয়া যাবেক্ষণ
কার কত ফিক্সড্ ডিপোজিট হয়েছে প্রেমার্থ জমিয়ে।
আবার কেউ ছোটো ছোটো টার্মে জমাতে ভালোবাসে,
যেন মনে হয় প্রেম একটা সিজনিং ফুল
আসে আর যায়, মাস- বছর ঘুরে যায়।
আবার কেউ চায় বিনা অনুমতিতে প্রেমার্জন করতে
কল্পনা করে নেয় নিজের মতো করে,
মনের মধ্যে রাজপ্রাসাদ গড়ে নিয়ে
খুঁজে বেড়ায় মণিমানিক্য খচিত সেই আসল সিংহাসন,
যেখানে না পাওয়ার মধ্যেই সবথেকে বেশি পাওয়া যায়
অনুমোদনের অপেক্ষায় আর কে বা বসে রয়!