মধুবনের পাশাপাশি 
একচিলতে বারান্দা ,
চৌকাঠ পেড়োলেই
ছায়ানামা ছোট্ট ঘর
অমৃত ,তরুণ ,খুকু ,রনি
গা ঘেঁষাঘেঁষি ....
সুরের সঙ্গে কন্ঠপাঠ,
বৃন্দগান চলতে থাকে
গণ-সঙ্গীতের পথে
বাপীদার আঙ্গুল ওঠেনামে
হারমোনিয়মের
সাদাকালো চাবির ওপর,
সুর কথা বলে
মে দিনের শেকল ভাঙ্গার
কিংবা শতফুল বিকশিত হওয়ার-----
কালো অন্ধকার তির্যক ছাদ
মাথা তুলে
শিকল ভাঙ্গার গান শোনে,
আমরাও .....


একদিন দেখি এক
অচেনা মানুষ
উচ্ছাসহীন, কমনীয় 
ছায়াঢাকা ঘরের 
এক পরিসরে —
প্রথম দেখা ধ্বনিকার
সুর বুনে ,কথায় গান গায়
হাঁটু মুড়ে হারমোনিয়মটার
ওপর ঝুঁকে ......
চোখে চোখ হয়নি কখনও
শুধুই সুর-সপ্তক মিশ্রণে
হয়ে ওঠা গান
ছুঁয়ে গেছে মন-শরীর !


বছরের আস্তরণ 
বালি জমে স্মৃতি ঘরে
ছায়াকোণ ,কিছু মুখ আর চৌকাঠ
কবেই ছিন্ন হয়েছে নগর বুকে  
আকন্ঠ বিষজল জারিত হৃদয়
ছেঁড়াপাতা, ছড়িয়ে থাকা স্বরলিপি
পাশাপাশি রাখে,
চিত্রপটে চেনা ঘরের ছবি
সেই বিষ্ময়-মুখ,
প্রথম দেখা গীতবান 
মানুষ আমার 
স্বরধ্বনি ছোঁয়ার আপ্রাণ চেষ্টায়
দুহাত বাড়িয়ে ......
নিচুমুখ,নমনীয় দেহভঙ্গি  
একরাশ প্রচ্ছায়া সাথে
চৌকাঠ পেড়োয় । 
(প্রয়াত সুকুমার দাস মহাশয়ের স্মরণে)