সে এক মিষ্টি মেয়ে
আঁকতে গিয়ে
আকাশ ড্রয়িং বুকে
হারিয়ে ফ্যালে রং ।
মায়ের কাছে জানতে গেলে
মা বলে- সব নিজে আঁকো
রঙ যে কত ছড়িয়ে আছে
খুঁজেই না হয় দ্যাখো ।


-সবুজ ঘাস মাঠ-নদী-বন
দিগ্বলয়ে রেখা
তারপর নীচ থেকে ওপর
নীল রং যায় দ্যাখা ।
মাঝে মধ্যে দুধ সাদা মেঘ
ভাসে বাঁধন হারা
ভোর হবে লাল মিশিয়ে দিলে
দৃশ্যটা মনকাড়া ।


শুনল মেয়ে, অবাক চেয়ে
হাতটি গালে দিয়ে
চুপটি করে সে, ভাবছে বসে
আকাশটাকে দেখি –
ছোট্ট ঘেরাটোপে
জানলার গ্রীল ফাঁকে
তাই রেখেছে চোখ
তাই দিয়েছে উঁকি ।


তাকিয়ে অবাক! বিস্ময়ে চুপ্
খেলছে আবির আকাশ !
শেওলা,সবুজ,লাল,বেগুনী
বর্ণে অনুপ্রাস ।
জমছে সেথায়, ভয় সঙ্কায়
কাঁপছে মেয়ের বুক ।
নীল সীমানা, সামিয়ানা
ধূসর মাঠ কী অদ্ভুত ।
দিল ফাঁকি, ম্যাজিক নাকি
খুঁজতে গিয়ে দৃষ্টি পাখী, ফুরুৎ ।


চিন্তার জট, গূঢ় সঙ্কট
ছটফট করে ডাক
মা... আজ কী সগ্গে ফাগ্ ...
অবসরহীন মায়ের মেজাজ
- ভালো করে দ্যাখো
বুঝতে তো শেখো
সবেতে প্রশ্ন কেন !
চোখ দিয়ে সব
যায় না দ্যাখা
বুদ্ধিটাকে খোল ...
- স্ক্রাইস্কেপার, মস্ত দেয়াল
আড়াল শুধু তো নয়
পাথর গাঁথা উুঁচু সভ্যতা
মানুষ স্বপ্ন ছোঁয় ।
- জ্ঞানের ধূলোয়, বুদ্ধিতে শাণ
নিত্য গড়ে সাঁকো ।
- যাক্ সে কথা, ড্রয়িংটা ঠিক
মন দিয়ে নয় আঁকো ।


মিষ্টি মেয়ে – চুপ্ !
অভিমান মনে, সঙ্গোপনে
রাখতে গিয়ে
রং গোলা কাপ, টুপ্ !
খাতার কোনে উল্টে গিয়ে
ড্রয়িং বুকে, নিজের সুখে
রঙ গড়ায় ...
গাছ,নদী,বন, গাঁয়ের বাড়ি
ইকোফ্রেন্ডলী  গরুর গাড়ি
লাল মেঠোপথ
দিগ্বলয়ে ছড়িয়ে যায় ।


মেঘের সারি, রং বাহারি
আকাশটাকে খাচ্ছে চুমো ,
সময় আবেশ, চলছিল বেশ
খেলাচ্ছলে, বল্ল- থামো !


দেখছে সবাই, বলছে- ওঃ গড!
এই বয়সে, রঙের বুনোট !
কম কথা নয়, ভাব জমানো –
জল রঙকে পোশ মানানো !
ঈশ্বরের আশীর্বাদ –
রং-তুলি আর ক্যানভাস ,
ঠিক চর্চা রেখেছো তো ...
ভান গখ বা পিকাসো ।


গর্বে ভাসে মা, হাসির জ্যোত্স্না...
মিষ্টি মেয়ে, এসব দ্যাখে
গম্ভীর হয়ে, চেয়েই থাকে ......
----------------
----------------
সত্যি কথা ... একদম্ না
সব বড়দের কল্পনা --।।