কবিতা আসবে বলে
হাটখোলা দরজা
সরিয়ে দেওয়া পর্দা পাশে
কর্পূর বিছানো রেকাবী
চার কোণে নক্সিকাঁথা
মাঝে সাতরঙা আবির আলপনা।
কার্নিসে তৈমুর, চন্দমল্লিকা
সঙ্কীর্ণ সময়ের সাথে এল গভীর রাত
জামরুল রাঙা জ্যোৎনা
কখন নদী কখনও ঝরনা,
রজনীগন্ধা শরীর জুড়ে বিমূর্ত রেখারূপ।
পক্ষকাল কবিতার অপেক্ষায় ......... ……
রাতআলো জানালার গারদ পেরিয়ে
গড়িয়ে নামে ।
বিস্তীর্ণ এক আলোছায়া
মেঝেতে ছায়াচিত্র আঁকে।
ঘরের দক্ষিণ দেওয়ালে
জলরঙ, ছায়ানটের আলাপ ।
টেবিল পিয়ানোয়
শ্বেত স্বচ্ছ আঙ্গুল ছোঁয়া সিম্ফনী
স্বপ্ন ছড়ায় অলিন্দের বাতাসে –
কালো আর ধূসর অতীত মেলানো
বাদামী রিড ওঠে নামে বসন্ত হাওয়ায়
রিন্ রিন্ বেজে ওঠে অকৃপণ সুর।
বেলজিয়ম কাঁচের আয়না
উপবৃত্ত সীমানায় বর্মাউডের কারুকাজ …
বয়ে যায় শীতল সময়, কিছুটা শ্লথ ।
পক্ষকাল কবিতার অপেক্ষায় ………..........
পিয়ানোর ওপর ফরাসী আতর মাখা
খোলা ডাইরির পাতা, গোলাপগুচ্ছ ।
আকাশ গায়ে ছায়াপাখি অক্ষর ছোঁয়া
উয়িংশন্ পেন
নিববিন্দু নীল কুয়াশা মেখে স্থির,
সোনালী ঢাকনায় আলোশিখা ছায়াভাঙ্গে ।
ঝিঁ ঝাঁ ডাকের করুণ আকুতি
রাতপাখি প্রহর গোনে।
তৃষ্ণা মেশা
শিশির জারিত পেয়ালা,
স্ফটিক স্বচ্ছ আঙুর নির্যাস,
গোলাপ জল বর্ণীল পানীয়।
অলীক কল্পে স্থির
আমমুকূল পাশে জোনাকী –
জল বলয়ে রাত আলো,
আকাশ চূড়ায় তারাঘর …
বিমর্ষ ধুলোয় পড়ে থাকে পথ।
তৃণমূল রোমশ মাঠ
বুক পাতে
আগলে রাখে নীলফুল
রেখাচির মাটিমাখা বারিবিন্দু
ঘনীভূত পাখায় জ্যোৎস্নালিপি
লেখে মনকথা
কবিতার অপেক্ষায় ......... ………