জলবিন্দু নেমে এলো
আকাশচিত্র হতে
জানু পেতে তটরেখায়
ঋজু আমি
প্রসারিত করতলে ......


দুঃখ ঝরে ওষ্ঠে
কল্পনায় ,রূপকথায়
উড়ে বেড়ায় কত স্বর
কত শব্দ স্থির কুয়াশায়


জলবিন্দু ধীরে নামে
জ্যোৎস্না আবেশ গলে
শিশির দানায়
ছাতিম শাখায় ,ডালিম ফুলে
জমে স্থির


বিন্দুতে নিশ্চিত গল্প ছিল
লেখবিহীন কোনো কবিতা,  
বরফের মতো সফেন চাঁদ  
নেমে আসে আরশীদহের বিলে
মাঝ রাতে


হয়ত বা শীতকথা বলেছিল
বাবুই দড়িখাটে বসে জানবুড়ো
নেশা শাণ দেওয়া দৃষ্টিতে,
জলবিন্দু নামে তারও ঠোঁটে...
চোখ পল্লবে
আঁক কসে সময়ের  অঙ্কে
উত্তরহীন জীবন উঁকি দেয়


ছিটা বেড়ায় ঝোলান
কাঁটা বাঁশের জানালায়
জীর্ণ ফাটলময় মেটে দেয়ালে
ছায়া নড়ে,
কুপি বাতির আগুন ছোঁয়া আলো
পাশে নাচে
ধোঁয়ায় প্রতিবিম্বরা নড়েচড়ে
গান বলে চলে ছায়া...
সে কি কোনো কবিতা পড়ে
জল নিয়ে অথবা  মৃত্যু দিয়ে
যতিচিহ্ন লেখে,
ছায়াঠোঁট নড়েচড়ে
অগম্য পাঠে জাল বোনে......


জলবিন্দুতে স্বপ্ন ছিল
তারা বাসা বাঁধে বুকের ভিতর,
ছায়ামন চলে ভারসাম্য রেখে
কালোময় অক্ষরে অক্ষরে।