সে কবেকার কথা

তোমার সাথে ঘুরতে গিয়ে পৌষ মেলার মাঠে শান্তি নিকেতনে

আমরা ঠিক করেছিলাম বাউল হতেই হবে নাহলে এ জীবন বৃথা

মনে পড়ে জ্যোতির্ময়

তারপর ফিরে এসে ন্যাশনাল লাইব্রেরি আর এদিক সেদিক

আমাদের একান্ত গবেষণা মূলক নিভৃত পড়াশুনা

আর শেষমেশ আখড়া তে গিয়ে গাঁজার ছিলিমে টান

আমরাও বুঝে গিয়েছিলাম বাউলের ধর্মের জন্য আমরা নিতান্ত অযোগ্য

ঢাকা পড়েছিল স্মৃতি

সেদিন নন্দন চত্বরে , রবীন্দ্র জয়ন্তী সেরে ফেরার পথে দেখলাম

ব্যান্ডের একদল ঝলমলে ছেলে মেয়ে

সহজেই সেই সব সহজিয়া আর বাউল গান

রাঙতায় মুড়ে দেশ বিদেশে র নানান হাটে ফেরি করে ফিরছে

জ্যোতির্ময় ,তুমি হয়ত বলব, বয়স হচ্ছে তাই খিট্‌খিটে হচ্ছি আমি

বেকার ছেলেমেয়ে গুলো বাঁচার রসদ পাচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতি তুলে ধরছে বিশ্বের দরবারে

না হলে বাউল গান বলো মন দিয়ে কেউ শুনতো তেমন করে কখনো-

কিন্তু মনের কোণে একটা চিন্তা খোঁচা দিচ্ছে বারবার

জীবন যাপন থেকে গান কে আলাদা করে নিলে বাউল বাঁচবে তো?


আমি জানি হো হো করে এক আকাশ হেসে তুমি বলছ

কার আয়ু কত দিন কিবা ধনী কিবা দীন

তার চেয়ে চলো গুনগুন করে নিজেদের গান, হেঁটে আসি কিছু দূর -