মন যখন বন্দি খাঁচাই
নীরবে চিৎকার করে
সে কি আর্তনাদে -
মাথা খুঁড়ে মরে।
চারিদিকে লোহার শিকলে,
বন্ধ করা বিকেলে,
অন্ধকার কারাই
ইচ্ছেগুলো তীব্র পাখা ঝাপটাই
উড়ে যাওয়ার স্বপ্নে।
কিন্তু হায় -
উড়ে যাওয়া তো দূরের কথা
নিস্তেজ করে
এক রক্তাক্ত ব্যাথা।
মুঠো বন্ধ হয়ে আসে,
চোখে অশ্রু ছায়ে
তিক্ত সমাজের মানার ঝাসে।


বন্দিনীর জানালার শিকে
কখনো যদি প্রজাপতি এসে থাকে।
যদি কখনো সব ভুলে
প্রাণের দুটো কথা
বলে ফেলে মন খুলে
সমাজের বদনাম নামক এক দস্যু
ক্ষত-বিক্ষত করে,
ঝরাই রক্তাশ্রু।
যখন শ্রাবনের দু-এক ফোঁটা
ভিজিয়ে দিয়ে যায়।
নিয়ে এসে সেই সোঁদা গন্ধটা
মনকে উচ্ছাসিত করে তোলে,
ভরিয়ে দেয় স্বপ্নের-
ফুলে - ফলে।
ঠিক তখনই,তখনই
থমকে দেয়
সমাজের সেই চোখ রাঙানি।