গাং চিলের ডানায় ভর করা রোদেলা দুপুর
যুগের চিহ্ন বটগাছের ছায়া সুনিবিড়
সামনে কুল-কুল বয়ে যাওয়া নদী
রূপালী ঢেউ তোলা স্রোত; প্রশান্ত,
পাল তোলা ব্যস্ত নৌকা
ব্যস্ত পরিশ্রান্ত মাঝি-মাল্লা।


ঘাটে বাধা ছোট্ট নাও,
দাঁড় নেই, পাল নেই
মাঝে মাঝে ঢেউয়ে দুলে উঠে,
যেন বলে চল চল ঐপাড়ে
সাদা বকের গায়ের মত কাশ বনে
বাতাসে হেলে দুলে মিতালী করে পরস্পরে।


তার পরে বুক ভরা নিঃশ্বাস
প্রাণে সঞ্চার ঘটে হৃদয়ের আনাছে কানাচে,
ভেসে উঠে সিনেমার স্লাইডের মত
হৃদয়ের পুরোনো এলবাম থেকে;
সাথে শৈশবের স্মৃতি জাগা গন্ধ
নাকে এসে নাড়া দেয়
হারিয়ে যাই সে অরণ্যে।


আবার এসে দাঁড়িয়েছি
প্রাণের চারণ ভূমিতে;
তার সেই সীমান্তে
নদীর ওপাড়ে শুনে কার হাত ছানি,
দুরু দুরু কাঁপে তার বুক,
বিষণ্ণতার ছায়া তার মুখে
তবুও এক টুকরো হাসি
লেগে থাকে তার ঠোটে।


মাঝে মাঝে মনে হয়
হিজলের গা চমচম করা
ছায়া ছিল তার চোখে;
ডাহুকের স্বরের মত অস্থিরতা;
রূপালী স্রোতের চলে যাওয়া সেই ঢেউ ভেঙ্গে ভেঙ্গে
তার হাতে আমার কবিতার খাতা।


ব্যস্ততা ছুটি দিয়ে গেছে সেই কবে,
মধ্য দুপুরের কোন এক ক্ষণে
চোখে অশ্রুর কারুকাজ নিয়ে,
শেষ কথা যায়নি বলে
শুনেনি সে আমারও
শুধুই চলে গেছে সুদূরের পানে।