প্রিয় মানুষ,
তোমার নখদর্পনে অনুক্ষণ আমি আছি,
না থাকুক তোমার হাতের পরশ, আলতো আদর,,
শব্দের বিনিময় বা কথাচালাচালি।
না থাকুক তোমার জানাশোনার ব্যাসার্ধের গোলকে,
আমার বিগত কটা রাত্রি,
ঘুমিয়েছি?  নাকি ঘুমহীন?
আমার বিগত দিনের খসে পড়া ক ফোঁটা অশ্রুপাত?
তোমার অপেক্ষায় থেকে থেকে,
চোখ বেয়ে, গাল বেয়ে, ছুয়েছে চিবুক।
তারপর বিজ্ঞানের তত্ত্ব মতো,
  বাষ্প হয়ে উড়ে যায় নীলিমার বুক।

কিন্তু আমার কবিতা?
তুমি যার প্রথম পাঠক।
থাক না আমার সাথে অভিমান,
কোটি বছরের পুরনো অভিযোগ,
এক আকাশ তাঁরার চেয়ে কিছু বেশি ঘৃনা,
থাক  না, থাক  না, থাক না।
এতটা হিংসুক তুমি ছিলে না কখনো,
সেটা আজও বলি, বারবার বলি,
এতটা অকৃতজ্ঞ নই, সেটা ও জানো তুমি।

আমার কবিতা তোমার মন ছুয়েছে বহুবার,
যখন আমার পাজর ঘেঁষে ছিলে,
হাত বাড়াতেই যখন, ছুঁয়েছি তোমায়,
কথার ছলে ছলে, বলেছিলে বুকে নিঃশ্বাস ফেলে।
তুমি ত মিথ্যা বলনি কখনো,
এতটা অভিযোগ করিনা তোমায়।

আমি জানি, তুমি রোজ রোজ কবিতা পড়,
তবে হাতে ছুয়ে দেখনা, পরশ রাখনা,
যদি, আমি বুঝে যাই?
টের পাই?
কবিতায় তোমার পরশ ধ্বনি।
যদি বুঝে যাই, এখনো আমার জন্য তোমার,
কিঞ্চিৎ দলিতমথিত প্রেম রয়েছে পড়ে।
সেটা কেমন হয়?
তা থাকুক অজ্ঞাত।
তুমি যাহা চাও।
তোমার ছলছল চোখে, তাকাও বারবার,
অব্যক্ত-রূপে মনের ভিতরে ঘুরপাক খেতে খেতে,
ক্লান্ত শরীরে তুমি পড়ে পড়ে খুঁজে দেখ,
তোমার জন্য আমার শব্দের আহাজারি।
কবিতার পাতা উল্টে,  তোমার  দীর্ঘশ্বাস মাখা,
নিঃশ্বাসের ঝড়ে।