আমার বাংলাদেশের মাটি
যেন পূত-পরিপাটি
রক্ত দিয়ে হলো খাঁটি
নেই যে তাহার ত্রুটি।


পথের ধারে ফুলের ও ঘ্রাণ
মাঠে ভরা চাষীর এ প্রাণ
পাখির সুরে মধুর ও গান
ওগো, ভরা সুখ-বাটি।


ওই সুধামাখা চাঁদের আলো
এলোমেলো তারা গুলো
মনে প্রাণে লাগে ভালো-
নিশীথে যখন হাঁটি।


ঢেউয়ে ঢেউয়ে নৌকা দুলে
হাসে ওই শাপলা ফুলে
সারা বিলে সারা ঝিলে
ভরায় ভারি বিষটি।


এখানে পাই মায়ের সুধা
অন্ন-বস্ত্র; মেটাই ক্ষুধা
কোনো পথে নাহি বাধা।
এ আমার স্বর্গবাটি।


তোমার কোলের ছায়া-গাছে
উষ্ণ এ মন প্রাণে বাঁচে
ওগো, আমি তোরি কাছে
পাই যে শীতল পাটি!


মহিস্বর্গ ওগো জন্মভূমি,
মনে-প্রাণে আছো তুমি
তোমার আলোয় আমি-
সকল আঁধার টুটি।


হরষ জাগে আমার বুকে-
এ আমায় রাখি এঁকে
বা দেখুক সত্যলোকে
আমি বারে-বারে ফুটি।


বীর তরুণের ওই চেতনা
মিশে আছে প্রতি কোনা
যে কারণে গেল চেনা
তোমার শত্রু-ঘাঁটি।


এখানে কত তরুণ আসে
কেহ কাঁদে কেহ হাসে
তারি মাঝে আজও ভাসে
ওই তরুণের কথাটি।