শব্দ-অক্ষরের কবিতারা ছবি হয়ে
তোরই শিয়রের কাছে দাঁড়ায়।
তোকে চুম্বন করে, তুই টের পাস নাll


এরা তোর পাশেই সারারাত শুয়ে থাকে,
এক বিছানায়; তুই জাগিস না।
বিছানায় আর ঘরের আনাচে-কানাচে
মরা মথের মতো এরাই লুটোয়,
যেন মাড়িয়ে দিস নাll


বহুদিন পর
আমি অন্য কথা বলায়, অন্য পথ চলায়
তোর মুখখানি আদর করি--মনে মনে।
গোপন নিজস্বচোখ ক্ষণেক্ষণে
ঘরভর্তি লোকের মাঝেও তোকেই চায়।
তুই হারিয়ে যাস নাll


কেমন করে তোর মনের শরীরে মিশে আছে
আমার অতি ব্যক্তিগত কবিতার
প্রতিটি শব্দের আত্মা,
তুই যেন জানতে চাস নাll


..................মীজক
মুকুন্দপুর, ০৫/০৭/২০১৭


স্বীকারোক্তি


এ কবিতা মধ্যরাত্রে তোরই নিভৃত ঘুমন্ত মুখ লক্ষ্য করে, করতেই থাকে। ঘুমের মধ্যে তুই আচমকা জিভের কামড়ে জেগে উঠে বিছানার পাশের টেবিলে রাখা গেলাসে জল খেতে গিয়ে ভাবিস.. কে আর এত রাতে তোর কথা মনে করছে!
তখনই হয়তো এই কবিতার প্রত্যেক পংক্তি, শব্দ, অক্ষর, কমা, ড্যাস, দাঁড়ি, রেফ আর 'র'য়ের ফুটকি সমেত কবিতাটা তোর দিকেই ছুটে যাচ্ছে...। তোর আধো-ঘুমন্ত মুখের চারপাশে, আর এলোমেলো বিছানায় আমার নিঃশ্বাসের মতো নিঃশব্দে শব্দগুলি.. প্রতিটি অক্ষর যেন গুণিনের বাণের মতো শুধু তোকেই বিদ্ধ করতে চাইছে।
ভয় পাস না যেন। তুই নিশ্চিন্তে ঘুমো। আমি বহুদূরে আছি। মধ্যরাতে আমার জেগে থাকা আবেগের তীব্রতা..উষ্ণতা, গুমরে ওঠা আর্তি.. তোকে ভয় দেখাবে না।
এরা মোমবাতির আলোর মতো হিম-শীতল ভদ্রতায় তোর শরীরে শুধুই মিশে যেতে চায়।