বাবা তুমি মহীরুহ,মাথার উপর শক্ত ছানি,
ধরণীর বুকে মোরে চিরতরে করেছ যে ঋণী!

শীতল ছায়ায় মোরে দয়াকরে দিয়েছ যে স্থান,
যাহা কিছু আছে হাতে,সবকিছু তোমারই দান।

আহার জোগাতে গিয়ে,নিজেকে রাখতে সদা মাঠে,
কাঁধে করে নিয়ে যেতে,বহু দূরদূরান্তের হাটে।

তোমার চাওয়াটা ছিল হতে হবে উৎকৃষ্ট মানুষ,
নিজেও যে ছিলে তুমি,কর্মযজ্ঞে সর্বদা নির্দোষ।

পান্তাভাত নিজে খেয়ে,মোর মুখে তুলে দিতে দুধ,
করতে যে চাই আমি,কিছুটা হলেও ঋণ শোধ!

হয়েছ যে শিশু সম দেহে নেই আগেকার বল,
স্থায়ীভাবে জরা ব্যাধি নিয়েছে যে দেহের দখল।

করি যবে সেবা কার্য জাগে মনে অপার আনন্দ!
তোমার মলিন মুখ,চিত্তটাকে করে নিরানন্দ!

পারি যেন ধুয়ে দিতে নিত্যদিন তোমার পোশাক,
ভুলেও কখনো যেন,কষ্ট নাহি দেয় মোর বাক্।

চরণ দুইটি যেন নিত্য পারি করতে মালিশ,
জুতাগুলো চাই সদা নিজহাতে করতে পালিশ।

যত্ন করে পায়ে ধরে বার-বার ক্ষমা যেন চাই,
এতটা নিঃস্বার্থ কেহ,কোথাও যে খুঁজে নাহি পাই।