দুইটি হাতে করে সদা
দশটি হাতের কাজ,
সুখে থাকে কর্ম মধ্যে
করেনা সে লাজ।
উদয় কালে ঝাড়ু দিয়ে
করে শুরু কর্ম,
কর্মটাই যে তাহার কাছে
নিত্য দিনের ধর্ম।
কভু যদি কারোর দেহে
অসুখে ভর করে,
তাহার চোখে দিবা রাত্র
ঘুমে নাহি ধরে।
সবাই তাকে যন্ত্র ভাবে
আকল বুদ্ধি কম,
নিতে হয়না তাকে-ও যে
যন্ত্রের মতো দম।
ছোট-বড় সবাই ধরে
কর্মে শতেক ভুল,
জবানটিকে রাখে বন্ধ
করেনা সে গোল।
কেউবা বলে 'বস্ত্র ধুলে
থাকে কেন দাগ'!?
আবার ধুয়ে দেয়ার জন্য
দেখায় অনেক রাগ!
কেউবা বলে লবনটা কম
কেউবা বলে বেশী,
তাহার পাতে জুটে সদা
হলে খাবার বাসি।
সাহায্যার্থে কেউ আসেনা
রাখে পদতলে,
কাজকর্মটা দেয় বাড়িয়ে
জ্বর কখনো হলে।
যদি কভু চায় সে ছুটি
হয় যে মলিন মুখ,
শুনতে কেহ চায়না কভু
জমানো তার দুখ।
অকথ্য সব বুলি ছুড়ে
করে আক্রমণ,
কোনো কথা নাহি বলে
বাড়ায় কাজে মন।
শর্তের বোঝা মাথায় নিয়ে
ছুটিতে সে যায়,
যাবার বেলা মায়ার বাঁধন
তাকেই যে কাঁদায়!
আপন গৃহে কাঁদে গিয়ে
আপনজনদের দেখে!
পরকে আপন করে কাঁদে
গিয়েছে যে রেখে।
সম শোকে কেউ কাঁদেনা
মেটায় প্রয়োজন,
সারা জীবন কর্ম করেও
পায়না কারোর মন।