তোমার চেনা বিরাটী মোড়
আর আমার চৌত্রিশ বি এর খাঁজে
এক ফালা ঘন অন্ধকার
পাশাপাশি ভাগ করে
আবার জুড়ে যায় ||


আমি অন্তঃসন্ধানের মেয়ে
বিজড়িত তন্দ্রাজাগরণে
বিচলিত নিঃস্বাশে
পরাগে
সোহাগে
উপসংহারে
ফিরিয়ে দিই বারেবারে ||


তোমার জমকানো শহরে
চেপটা ফিরে দেখা চাকায়
গতিমানে
ভরিয়ে দেয় গ্রাস
তুমি সহচরে
আমার বুকে
শেষ গল্পের শব্দচ্ছলে
আঁকো
এক
অকিরণের জলছবি ||


বাঁশি ফুলের হিমঘরে
ফেলে আসা
রেশারেশির বয়সের ভুল,
হয়তো-
অতীতের ভরে বড়
ঠেলাঠেলি করে দেখি
তুমি যতদূর ছুড়ে ফেল
গ্রাস
হয়তো মহাদেশ এক
কিংবা একটুপ জলের প্রয়াস ||


তুমি বলো ময় সব -
আমি বলি
শব, মায়া  আর
কাঁচা বয়সের অনন্তপুর
দেখা যায়না বিশেষ -
সেই দিক ও দিগন্তের
সন্ধিবিচ্ছেদ করে ||


যান্ত্রিক রক্তচাপ
পরিধানের উর্ধে
পুঞ্জমেঘ সরে যায়
ব্যর্থতার তীর্থে


তুমি হটাৎ নেমে
উর্দ্ধগামী চালকের
সাথে ফের
বিরাটী মোড় ||


আমি সস্তা পথে
উত্তরহারা যন্ত্রের পেশায়
খানিক ভেবে হাঁটা দিই
রূপান্তরকারী
যুগান্তের খোঁজে ||


তোমার দার্শনিক পেঁয়াজের খোসায়
দেখবে কত অজানা ই থাকে বেঁধে ঘর
ঠিক হয়তো সারি সারি পাশে নই
খেয়াল ভুলে হাতে হাত
রাখো যেমন তুমি ||


হলুদ ভেজা অবহেলায়
স্তুপে স্তুপে গড় জীর্ণ সেতু
অঙ্গপ্রতঙ্গ দেউলিয়া হয়
শিহরণের বাঁশিমুখে
অস্পুষ্ট উচ্চারণে ---


তখন ইতিহাসের পাতা হাতে কি যেন আওড়াও -
যে অপেক্ষার ভার
তুমি নগ্ন দেহে মেলে ধর
সে কি আমার দেশ?
বোঝে বাসা-ঘর কি?


তুমি যে বলো
তোমার ব্যবসায়িক বৃত্তের চাঞ্চল্যে
আমি নেই-
তবুও আমার এক অধিকার বুঝি-
সংগ্রামে
ক্লান্তি
অক্লেশে
যাকে ঘিরে কল্পস্বর্গ রচনা হয় ||


মধ্যিখানে এক অদ্ভুত অন্তর্মিল
বহুকাল বয়ে
তোমার চেনা বিরাটী মোড়
দাঁড়িয়ে আজ
অচেনা চৌত্রিশ বি
কাল শ্যাওলার খাঁজে ||