নিজের অজান্তেই হৃদস্পন্দন থেমে যায়-
কখনও কখনও-বুঝে উঠতে পারিনা আমি,
চিমটি কেটে দেখি সত‍্যি কি বেঁচে আছি আজ‌ও?
বিশ্বমানবতা আজ লঙ্ঘিত,
লাশেরা ভেসে চলে রক্তের বন্যায়।
পৃথিবীর দিকে দিকে চলে যেন আজ
এক সাম্রাজ‍্যবাদী আগ্ৰাসনের আস্ফালন।
গুরু দ্রোণাচার্যের সন্মুখে আজ,
একলব‍্যরা করজোড়ে পদানত।
নিজ বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ কেটে গুরু দক্ষিণা দিতে
সদা প্রস্তুত নব‍্য শিক্ষানবিশেরা।
নির্লজ্জ গুরু আজ সদা ব‍্যস্ত
ব‍্যবসার লক্ষ‍্য গণহত্যার খেলায়।
তার উস্কানিতেই সন্ত্রাসবাদ গর্জে উঠে,
দিকে দিকে ধ্বনিত হয়,'নিপাত যাক,নিপাত যাক সৌভ্রাতৃত্ববোধ নিপাত যাক!"
মাটির নিচে মাইন বিস্ফোরিত হয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অলীক স্বপ্নে।
হৃদপিণ্ড ফেটে ফিনকি দিয়ে-
তাজা রক্ত বেরিয়ে পরে নিরপরাধ
সিপাহীর  মুখে।
স্মরণ সভা হয়- শহীদ ঘোষণা হয়,
আবার‌ও কফিন তুলে দেওয়া হয় বিধবার কোলে।
তারপর‌ও আমরা নিজেদের‌ই জাহির করি-
বিশ্ব মানবতার রাজ দরবারে।
এ কোন সভ‍্যতা? আমরা চলছি কোন পথে?
এই প্রশ্ন গুলি রয়ে যায় হৃদয়ের প্রতি কন্দরে!


            নিজ বাসভবন, ধ‍র্মনগর
              উত্তর ত্রিপুরা, ভারত
              তাং: ২৯/০৯/২০১৭