ছোট্ট একটি মেয়ে,চেহারা কুৎসিত কালো
নাম তার -দুর্গা!
যতটুকু জানলাম মায়ের নাম বৃন্ধাবনি
আর বাবা- রতন গোয়ালা।
বাড়ি মহেশপুর-চারটি টিন আর বাঁশের বেড়া-দুর্গাদের ঠিকানা।
দুরারোগ্য ক্যান্সারে গেলবার দুর্গার মা স্বর্গবাসী ছোট্ট দুর্গাকে রেখে।
বারো বছরের ভাই হারিয়া-
এখন ট্রাক গাড়ির খালাসী,
ড্রাইভার হবার বড়ই শখ তার।
দুর্গার বাবা রতন-বাগানে কাজ করে,
আর কতটা মজুরি সে পায়?
বাঙলার পানি খেয়ে মাতাল সাজে,
মেয়েকে প্রায়ই মারধর করতো রতন।
রমেশ কাকার দয়াতে ন'বছরের দুর্গা এখন শহরে অঞ্জলীদের বাড়ি কাজের মেয়ে।
দুর্গা আজ যেন চিৎকার করে কাঁদে-
"মা!ও মাগো! তুমি কোথায়,আমায় নিয়ে চলো..মা, আজ আমি পূজো দেখতে যাব?
দুকা একা পুতুল আর বেলুন কিনব মা!
মাগো! তুমি আমায় নিয়ে চলো!
এইটুকু মেয়ে দুর্গা-কেন আজও সে কাজের মেয়েটার দায়িত্ব বুঝতে পারল না?
আর সে কেনই বা তার মরা মা টাকে ভুলতে পারল না?
নিজ বাসভবন, ধর্মনগর
উত্তর ত্রিপুরা, ভারত
তাং: ২৮/০৯/২০১৭