সোনা!


শুনে বেশ ভালো লাগলো,
তুমি এবার নির্বাচনে
দায়িত্ব পেয়েছ!
বেশ, সাবধানে কাজ করো-
হে ,তাও জানি-তুমিই সব চেয়ে ভালো
কাজ করে সুনাম অর্জন করবে।
বাঃ বাঃ কি ভালো লাগছে আমার!
একজন মহিলার কাঁধে এতো বড়ো দায়িত্ব,
সিম্পল বলার ভাষা নেই!চলিয়ে যাও!
'ফিরে দেখা'র প্রয়োজন নেই,
এই মুহুর্তে!


জানি না তোমাদের ভোট কখন হবে,
বা তুমি ঠিক ঠাক মতো ভোট দিয়েছ কিনা!
ভোট দিও-তোমার যাকে ভালো লাগে,
তাকেই দিও! তুমি তো জান‌ই-
কোন নিদিষ্ট দল বা পার্থীকে ভোট দেবার
জন্য আমি কাউকে কখনো বলিনি এবারও
তোমাকে হুইপ দিচ্ছি না।
তবে তুমি ভোট অবশ্যই দিও,
এটা একটা পবিত্র কর্তব্যও বটে।


এদিকে আজ কদিন ধরে আমাদের‌ও
বেশ ভালোই কাটছে!
আজ পর্যন্ত আমাদের বাড়িতে
তিনটি দলের তিন জন প্রার্থী এসেছেন
সঙ্গে অনেক অনেক লোকজন নিয়ে।
আর বিভিন্ন পার্টির কর্মীরা তো প্রায় প্রতিদিন‌ই আসেন।
আমার মা বাবা তো খুব‌ই খুশি-
ঐ জঙ্গলের বাড়িতে প্রায় প্রতিদিন লোকজন আসেন
চা পান খান। কি সুভাগ‍্য ! আর বয়স্ক মা-
বাবা ভাবী MLA বা মন্ত্রীদের খুশী মনে
চরণ ধূলো দিয়ে কৃতার্থ করেন।
একটা সুযোগে আমিও দাদা দিদিদের সাথে হাত
মিলাতে পেরে বেশ ধন‍্য মনে করছি।
কেননা আরো পাঁচটি বছর পর হয়তো
বা তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার‌ও
আসবেন!


তবে শোনা না তুমি! ঐ সাধুদার একটা
কথা যেন আমার মায়ের বেশ বদ হজম হয়েছে ।
যারা নাকি কোন নিদিষ্ট পার্টির মিটিং মিছিলে যায় না
তারা হয় 'সাইলেন্ট ভোটার' নতুবা 'ফ্লোটিং ভোটার'।
যারা নিয়মিত যান তারাও নাকি কখনো কখনো
বিশ্বাস ঘাতকতা করেন। তাই মানুষকে বিশ্বাস করে
বসে থাকা যায় না;
এজন্যই নাকি পার্টি কর্মীদের বার বার আসা যাওয়া
করতে হয় মানুষের বাড়িতে!
এই সহজ কথাটি কেন জানি মা
মেনে নিতে পারছিলেন না।


আর আমি, তোমাকে শেয়ার না করে
শান্তি পাচ্ছিলাম না-অনেক দূরে তুমি
আছো বলেই কথা! হয়তো একটু বেশি
সময় নষ্ট করলাম। কি আর করবে বলো!
আর সময় সুযোগ থাকলে একবার
'ফিরে দেখা' দিতে পারো! ভালো থেকো
সোনা! ভালো থেকো চিরকাল, সোনালী
বসন্ত নিয়ে!


ইতি
তোমার সুনু।


*********


নিজ বাসভবন, ধ‍র্মনগর
    উত্তর ত্রিপুরা, ভারত
তাং: ১৩/০২/২০১৮ ইং
   ৩০ মাঘ,১৪২৪ বাং
      সকাল:৫.৫৭