গ্রীষ্মের আঁচলে অমানিশার অন্ধকার ভেঙে  ঝলোমলো আলো নিয়ে,
সেই দিন ফুটেছিল একটি ফুল,
নাম ছিল তার - রবি ঠাকুর।
শুভক্ষণে পৃথিবীর ভাগ্যাকাশে হয়েছিল এক নতুন সূর্যোদয়,
ভরেছিল  সারা পৃথিবী জ্ঞানের আলোকে।
তাঁর কলমের ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়েছিল কত সহস্র গল্পক্থা,
কবিতায় কবিতায় ফুটে উঠেছিল অনুভূতির  জোয়ার।
নাটকে জীবন্ত হয়েছিল দলিত মানুষের নিপীড়িত জীবন কথা,
গানে গানে ঝরেছিল শত শত সুমধুর  রঙ মাখা কোকিলের ক্ন্ঠস্বর সুর।


শিশু মনে জেগেছিলেন যে জন-
কল্পনার রঙিন স্বপ্নের সাম্রাজ্যে।
আজো  তাঁর গান গেয়ে উঠে অগণিত  প্রাণ চঞ্চল পাখি,
সেজে উঠে নতুন ফুলোমঞ্চ, প্রেম ভরা হৃদয় নিয়ে,
জীবনে  আসে  কতো নতুন আশা, আর ভালোবাসা।

স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন সেই দিন কবি ;
সকল-ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ভেদাভেদ ভুলে,
মানবতার  নব দিগন্ত উন্মোচিত নতুন করে।


আজ কবিগুরুর জন্মদিনে,
গানে গানে মুখরিত পৃথিবীর সকল শান্তিনিকেতন ।
উৎসব, আনন্দে মাতোয়ারা আজ চারিদিক মহাবিশ্ব।
নোবেল পেয়েছিলেন কবি 'গীতাঞ্জলি' লিখে,
আমরা গর্বিত আজ সমগ্র বিশ্বের কাছে তার সুমহান সৃজনে।
শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে,তিনি দিয়েছেন যত উপহার,
তাঁর তুলনা নাই কারো সাথে, যুগ যুগান্তরে।


আজ তাঁর  মহান জন্মদিনে স্মরণ করি তাঁর কীর্তি গাঁথা সবে,
তাঁর জ্ঞান, তাঁর প্রেম ভালোবাসা মানুষের লাগি,
তাঁর সৃষ্টি চিরকাল বেঁচে থাকবে ধরণীর 'পরে,
প্রতি প্রভাতের সূর্যকে আলোকিত করে।