অহমিকা দম্ভেতে ভরা লাঠিয়াল বাহিনী,
শেষ বিদায়ের এক ঐতিহাসিক কাহিনী!
তাদের  অত‍্যাচার আর শোষণের  ব‍্যথা,
পুত্রহারা সংবাদিকের মায়ের দুঃখ কথা।
সবাই আজ যেন ফেলেছে শান্তির নিশ্বাস,
জয় হলো ত্রিপুরার লক্ষ মানুষের বিশ্বাস।
মানিক স্বর্ণযুগে কাকেরাও ছিল পরাধীন,
কথাবলা চলাফেরা সব‌ই লালের অধীন!
শ্রমিক নেতাদের সুন্দর আপেল চেহারা,
মেলার মাঠেতে সিপাহীরা দিতো পাহারা!
নারী কঙ্কাল মিলে মন্ত্রীর সেফটি ট‍্যাঙ্কে,
সবাই তো জয় জয় বলে প্রাণের আতঙ্কে!
বিজনের বাণী ভাই এবার মিষ্টিতে ভরপুর,
চাকুরে মদের লাইন হ্রাসে বেতনে কঠোর।
চৌদ্দ বছর চাকুরী করি অভিজ্ঞতা নাই,
টেটেতে বসিবার তাই অধিকার নাহি পাই।
দেশেতে খেলেও বন্ধু চীনের‌ই গুণ গায়,
জে.এন.ইউতে বসে তারা পাকিস্তান চ‍্যাঁচায়।
গাড়ি ঘোড়া অফিসেতে টেক্সের কারবার,
না পারিলে দিতে কেউ লাগিল দরবার!
কানা -কানি গুনা-গুনী ক্ষমতার বাহার,
মুখ যদি খুলে কেহ বদলি নিশ্চিত তাহার।
কতো যুবক পতাকা বহে বৃদ্ধ হয়ে গেলো,
সঙ্গে আছি বলে বলে মৃত্যু পথে নিলো!
আনন্দেতে বলো সবে জয় সকল জনগন,
বিদায় হলো এবার রাজ‍্যে দুষ্ট লাল রাবন!


     ***********


নিজ বাসভবন, ধ‍র্মনগর
    উত্তর ত্রিপুরা, ভারত
তাং: ০৪/০৩/২০১৮ ইং
   ১৯ ফাল্গুন,১৪২৪ বাং
       দুপুর: ১২.০৮