ক্ষণিকের ভালোবাসা চাই না আমি,লক্ষ জনমের ভালোবাসা চাই।।
কিছুটা ভাঙা কন্ঠে সুকরুণ সুরে গানটি গেয়ে যাচ্ছিল এক পাগল।দক্ষিণ দিক থেকে এসে যে রাস্তা উত্তরে চলে গেছে ,সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে।রাস্তার দু ধারের বৃক্ষ রাজি মৃদু বাতাসে দোদুল্যমান।যেন তাঁরা ও পাগলটার সাথে সহমত পোষণ করছে।পশ্চিম দিকের যে বাড়িটা পূর্ব দিকে মুখ করে বেঢপ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে,তাঁর ঢেউটিনের সুউচ্চ চূড়ায় বসে আছে একটা স্বাস্থ্যবান কাক। রাস্তার পাশে এক ছোট নদী।সেখানে বালু উত্তোলনের উৎসব চলছে।কোনো এক শ্রমিকের মুখ থেকে বের হয়েছে


সর্বনাশা পদ্মানদীর গান।শুনে রাগান্বিত হয়ে ৬৬বয়সোর্দ্ধ এক তরুণ বলে ওঠল


পাগলের বাচ্চা পাগল।


দূর সিমান্ত থেকে কাঁটাতারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।


কতিপয় রক্তে রক্তাত্ব হতে চেয়েছিলো নদী।নদীর বালিতে শুকিয়ে গেছে রক্ত।লেগে আছে দাগ।


দিন শেষে সিমান্তেই রক্তের আভা দেখা যায়।ধোঁয়া উৎস হাতে চেপে সিমান্ত মুরাদের চোখে কান্না ভেসে ওঠে।


ওপারে কিসের যেন বিজয় মিছিল দেখা যায়।
এপারটায় পড়ে আছে একটা নিহত পেঁচা,একটা আহত চিল।