একটা কবিতার পাতা ছিঁড়ে দিলে কী হবে?
চানাচুর, ঝালমুড়ির একটা ঠোঙা'ও হবে না।
যত্তোসব অচল-বাতিল মাল!
বড়োজোর এটো-ঝুটো মোছা যেতে পারে ও' দিয়ে!


ফিরে যাও তরুন কবি,
ভেবেছিলে প্রেমিক হবে?
তবে প্রস্তুত থাকো, মরণোত্বর সম্মাননা পাবে,
এপিটাফে কেউ লিখে দেবে- ভালোবাসি!


তোমাকে কি বলেনি কেউ-
কবিদের জীবন থাকতে নেই?
বলেনি কেউ তোমায়-
কবিদের প্রেমে পড়ে না কেউ?


মরণেই কবির স্বার্থকতা!
কবি মরে গেলে কাগজে ছবি ছাপা হয়,
হয়তো আঁচলে চোখ মুছে প্রাক্তন প্রেমিকা!
কবি মরে গেলেই কবিতারা পরিচিতি পায়!


কবি মরে গেলে বুড়ো কাকেরা ফিরে আসে এই জীর্ণ শহরে,
কবিতার ভাষা হয়ে ওঠে কাকের সংলাপের মতো কঠিন।
কবি মরে গেলেই কবির প্রাক্তন প্রেমিকা প্রথমবার অনুভব করে
তাকে নিয়ে কেউ আর কবিতা লিখবে না কোনদিন।