সন্দেহ
অনুপ মহারত্ন ।
এক দিন বলেছিলে
‘সন্দেহ হয় তোমাকে’
কেন বলেছিলে জানি না
সে রাত্রে আর ঘুম আসে নি
সারা রাত ভেবেছি কথাটা নিয়ে
কোথা থেকে আসে এই সন্দেহ ,
কোনদিন পাইনি তার উৎস ,
হে বৎস !
কোথা থেকে পেলে এই বর্বর চিন্তা
কত ভেঙেছে ঘর , কত করেছে হত্যা
কত চুরমার হয়েছে ভালবাসার অখণ্ড সত্তা !
হে সন্দেহ , কেন আস তুমি মনে, আনমনে
কলুষিত কর নির্মল মনে
সন্দেহ ভাজনে
কেন তুমি ভাসাও পাশবিক দাবানলে
ক্ষোভ বিক্ষোভে
কোন ফাঁক দিয়ে ঢুক
এত নিরেট বুননিতে,
এত নিরেট গাঁথুনিতে
হে সন্দেহ , অনেক পুরাতনী
বড় সনাতনী
সূক্ষ অভিমানিনী
চির ধরিয়েছ মনে
ফাটল পেয়েছি মানুষ মানুষের রণে !
জোড়া লাগেনি কখন ।
জোড়া লাগবে বলে ভাবিনি কখন
মিলনের আশ্বাসে সভ্যতার যে শান্তির নীড় ,
ভেঙেছে বারে বারে
ধ্বংস স্তূপে পেয়েছি নিষ্ঠুর আক্রোশের চিহ্ন !
হে সন্দেহ ,
প্রতিশোধ সন্ধানী
উগ্র নাশিনী
ধিক তোমারে
নিরন্তর খুঁজেছি মানব মনের
বৃহৎ সরণী।।