রচনা কাল – ২৩ জুন ১৯৭৯


আমার পিতার দিকে তাকাতেই দেখলাম
তাঁর চোখে অনন্ত জিজ্ঞাসা,
শেষ সন্ধ্যায় কোটরগত চোখের ভাষা
আমার সবুজ সোনালী স্বপ্নকে
দূরে অনেক দূরে ঠেলে দিল।
মৌন বিস্ময়ে বহুক্ষণ ধরে
তাঁর সুতীব্র চাহনিতে আমি ঘর্মাক্ত কলেবরে ক্রমান্বয়ে যেন
দূরে বহুদূরে হারিয়ে  যাচ্ছিলাম।
অথচ-
এমন কথা ছিলনা।
পিতার একান্ত সাধ ছিল
আমি অনেক অনেক বড় হব।
নীরব ভাষায় আমি বললাম
কিন্তু তাতো হয়েছি।
তাঁর সুতীব্র চাহনি হঠাৎ কেমন যেন
নিষ্প্রভ হয়ে এল।
আমি অমঙ্গলাশায় চিন্তিত হলে
তিনি মুখ খুললেন-
বৎস! সব আদর্শ পিতাই চান
সন্তান মানুষ হোক,
অথচ তুমি শিক্ষিত এবং
ধনী হয়েও তা হলেনা!
ঘুম ভাঙতেই বাইরের কোলাহলে
শুনতে পেলাম,
আমার সহচরবৃন্দ
মায়ের শরীর থেকে সমস্ত রক্ত শুষে নিচ্ছে।
কিছুক্ষণ আগে দেখা-
আমার পিতার সুতীব্র থেকে নিষ্প্রভ চোখ
সব একে একে কাছে আরও কাছে সরে এল,
আমি বার বার নিজেকে সান্তনা দিলাম
‘স্বপ্ন স্বপ্নই’।