রচনা কাল – ১৬-৮-১৯৭৩


হে শাপলা –
ফুটে রও তুমি সরোবর মাঝে,
পাশে কিছু কুঁড়ি নিয়ে
কিছুদিনের তরে।
কখনও নিঠুর হাতে কেউ
তোমায় নিয়ে যায় নিজালয়ে,
তুমি কি রও তখন
নিস্পন্দ নীরব?
অনুভুতি সাড়া দিলেও
সাধ্য কি তোমার
ফেরাও সে নিঠুরে!


সুন্দরী শোভাময়ী!
সরোবর বুকে
দাঁড়িয়ে থাক
অতন্দ্র প্রহরী হয়ে।
অফুরন্ত খুশীর ঢেও
বয়ে যায় কুলকুল তানে
মৃদুমন্দ বাতাসের ডাকে।
রুপের বাহারে
ভুলাও পথিকে।
তোমার অবস্থানে
ভাবুক মনে লাগে দোলা।
স্তব্ধ মৌন অবাক বিস্ময়ে
চেয়ে থাকে ক্ষণকাল,
বিনিময়ে তোমায়
নিঠুর হাতে তুলে নেয়
সরোবর হতে।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে
ক্ষণিকের তরে
অসহ বেদনা
পুঞ্জিভুত হয়ে
জাগে তব বুকে।


জানি –
তুমি ক্ষমাময়ী,
ক্ষমা কর নিজগুণে
অত্যাচারী জনে।
গুণ নাই যার
সে পারেনা
কভু ক্ষমিতে অত্যাচারী জনে,
এ যে মহা সত্য
ধরণীর বুকে!
ভবিষ্যতের চলার পথে
গুণীই তো পাথেয়
দুর্বল চিত্তজনের।
ভাষাহীন বুকে
ক্ষমা নিয়ে তুমি
আছ দন্ডায়মান
আমি অধম
তুমি উত্তম
গাই তব গুণগান!