রচনা কাল – ১৬-৯-১৯৯০


রাজেকের নানী থাকতেন রাজেকদের বাড়িতেই।
ওদের অভাব লেগেই থাকতো,
নিজেরাই খেতে পেত না ঠিকমত।
বৃদ্ধা নানীর অনেক কষ্ট হোত,
একে তো বৃদ্ধা; তদুপরি ক্ষুধার জ্বালা!
অবশেষে একদিন –
মরণকে বরণ করলেন তিনি,
ওরা সবাই নিশ্চিন্ত হোল।
কিছুদিন পর –
রাজেকের একমাত্র ছাগল শেয়ালে খাওয়ায়
সে কি বুকফাটা কান্না রাজেক দম্পতির।
ছাগলটা থাকলে হয়তো শ’তিনেক টাকায় বিকাতো,
নানীর মৃত্যুতে যারা এতটুকু কাঁদেনি,
অথচ সামান্য পশুর জন্য কি বুকফাটা আহাজারি!
তাহলে দয়া মায়া কি উঠে গেল?
নাকি অভাব মানুষের দয়া মায়া ছিনিয়ে নেয়?
হয়তোবা তাই হবে!
এবং অভাবই মানুষকে শেখায় –
মানুষের তিরোধানে এতটুকু ভারাক্রান্ত না করে
সামান্য পশুর জন্যও আহাজারি করতে!


(সত্য ঘটনা)