আমি আজো বাংলা মায়ের জরায়ুর তাজা রক্তের ঘ্রাণ পাই! স্বার্থক স্বাধীনতার মানে খুঁজতে, মায়ের বুকে প্রাণ বাজী রেখে সাঁতরাই!


বীরের হুংকার আজো কান পেতে শুনি ইথারের তালে। বিশ্বাসী সুরে মুক্তির গান, আজো গেয়ে ওঠি ঘুমের ঘোরে। এখনো আশায় বুকে বাঁধি স্বপ্ন! এক পেয়ালা উষ্ণ স্বাধীনতায় চুমুক খেতে খেতে— আমাদের আমলনামা ভরে ওঠবে সমৃদ্ধির স্লোগানে!


বুটের তলায় পিষ্ট হতে চাইনি। তাই স্বাধিকারের রক্তে ওযু করে, তালবিয়া জপতে জপতে সেরেছি সাত তাওয়াফ। সাত একটা ধর্মের সেতু। তাওয়াফ হলো পাকানো কণ্টকাকীর্ণ স্তর। যার উপর ভর করে, আমরা পৌঁছে যাই- কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতায়।


আজো দগদগে ঘা শুকিয়ে যায়নি, তার ভেতর থেকেই জারজ সভ্যতার শক্তিমান চাহনি! বাঁ-হাতে আমলনামায় কাটাছেঁড়া সংলাপ! প্রজন্ম শেষে মূল্যহীন ফুলের বাসরে সাজাই শহীদ বেদী!


হায় স্বাধীনতা, ক্ষমা করে দিও। আজ তোমার চরণে শিকল পরিয়ে, খেলি নৃত্যের হোলি খেলা।