বড় ভাই এর সংসার

মোঃ মেহেদী হাসান


আমি হিমু আমার পরিবারের মা -বাবা এবং বড় ভাই ছোট বোন মিলে পাঁচ জন সদাশ্য। পরিবারের আমার বাবা এক মাত্র কর্তা আমার বড় ভাই এম পাশ করে বেকার চাকুী খুচছে। আমি সবে মাত্র ষষ্ঠ শ্রিনিতে পরি এবং ছোট বোন প্রথম শ্রিনিতে পরে। সবে মিলে মিশে একটি শুখি পরিবার। হঠাৎ বড়  ভাই এর চাকুরী হলো একটি ইস্কুলে আমরা সাবাই শুনে আনন্দে আত্মহারা। তার পড় গায় গ্রামের সবাইকে মিষ্ট মুখ কড়াই। বড় ভাই এর বিবাহ কড়ানোর  জন্য মা-বাবা পাত্রী খুঁজতে শুরু করে দিলেন। হঠাৎ এক গ্রামে এক সুন্দরী মেয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।মা-বাবা ঘটক পাঠিয়ে বিবাহ এর প্রস্তাব পাঠান।মেয়ের মা-বাবা ঘটক এর কছে শুনতে পেল ছেলে চাকুরী করে ইস্কুলে। তাই শুনে মেয়ের মা-বাবা  খুশি হন মেয়েকে গিয়ে সব কিছু খুলে বললেন, মেয়ে বিবাহ কড়ার সম্মুতি দিলেন। মহা ধুম ধামে বিবাহ সম্পূর্ণ হলো বাসার রাত হলো। একদিন ভাবি অসুস্থ হলো তার পড় ডাক্তারখানা নিয়ে গেলাম ডাক্তার বললেন, ইনি মা হতে চলেছেন। তাই শুনে ভাইয়া ভাবি আমরা সবাই আনন্দে আত্মহারা। কিছু দিন পড় হঠাৎ আমার বাবা মাড়া গেলেন, পরিবারের শোকের ছায়া বয়ে গেল।মা তার স্বামীর চিন্তায় করতে করতে এক পর্যায় পাগল হয়ে গেল। এদিকে ভাবির কোল ঝুরে এক ফুট ফুটে কন্না সন্তান জন্মগ্রহণ করে আমরা সবাই আনন্দে আত্মহারা। হঠাৎ একদিক আমার মা পাগল মানুষ কই জানি চইলা গেল। সরা রাস্তাঘাট খুজছিলাম পাইনি মাইকেন করালাম,
মায়ের ছবি দিয়ে পোস্টার বানিয়ে টানিয়ে রাখলাম কোন খোজ পাইনি, তখন আমি অষ্টম শ্রিনিতে পরি। হঠাৎ আমার বড় ভাই হার্ড এষ্টক করে মাড়া যান।
পরিবারের শোকের ছায়া বয়ে গেল। পরিবারের এখন আমি আমার ছোট বোন এবং ভাবি তার সন্তান। পরিবার পরিচালনার দায়িত্ব আমার ঘাড়ে পরে এক দিকে লেখা পড়া করি তার ফাকে ফাকে কাজ কর্ম করে সংসার চালাই। এভাবে দুই বছর কেটে গেলো, আমি আমার ইস্কুলে একটি মেয়েকে ভালো বাসতাম এবং আমাকে ভালো বাসতো । আমি মনে মনে চিন্তায় করেছিলাম কোন রকম মেটিক পাশ করে পুলিশের চাকুরী করে আমি আমার ভালোবাসার মানুষ টিকে বিবাহকরে সংসার করবো, ওর নাম ছিলো জোলেখা।
হঠাৎ একদিক গ্রামে শুনতে পেলাম বেপার কী হিমু এখন উপযুক্ত ছেলে ও আবার ভাবির সাথে গোপনে কোন মেলামেশা করে নাকি।তাই শুনে আমি দাড়িয়ে প্রতিবাদ করি। এলাকার মোরোল সাহেব বললেন,  তোর ভাই মাড়া গেছে দুই বছর হলো, তোর ভাবি জুয়ান জায়ান মহিলা তোর সাথে একুই ঘরে থাকে, লোক জন এসব কথা বলবেই। মোরোল সাহেব বললেন, তুই  তোর ভাবি সাথে থাকো এবং কাজ কর্ম করে সংসারে ভাবি তার সন্তান এবং তোর  ছোট বোন লেখা পড়া দেখাশোনা করো ভালো কথা। কিন্তুু জুয়ান জায়ান ভাবির সাথে থাকা যাবে না। তুই তোর বড় ভাই এর মেয়েকে রেখে তোর ভাবি কে বাড়ি থেকে বেড় করে দেয়। আমি এই এলাকার মোরোল মানুষ বয়স মাত্র ৫০ বছর তোর ভাবিকে আমি বিয়ে করে বৌ বানিয়ে একটু আমত ফুরতি করমু। তুই যদি রাজি না হও তাহলে তুই বিয়ে করে নেয় তোর ভাবিকে, লোক জনের নোংরা কথা বর্তা শুনতে শুনতে আমি অস্তির হয়ে গেছি।চিন্তায় করলাম, আমার বড় ভাবিকে যদি ঘর থেকে বেড় করেদেই তাহলে, আমার বড় ভাই এর এই ছোট্র মেয়েটির কী হবে, একদিকে বাবা নেই মা বেঁচে থেকে যদি তার আদোর শোয়াগ না পায়,তাহলে ওর কী হবে।তাই চিন্তায় করে আমি মোরোল সাহেব কে বললাম, আমি আমার বড় ভাবিকে বিবাহ করে স্ত্রী মর্যাদা দিব।মোরোল সাহেব আমার বড় ভাই এর স্ত্রী কে বললেল, দেবোরের সাথে থাকতে হলে বিবাহ করতে হবে।ভাবি মান মানসম্মান রক্ষা করতে এবং তার ছোট্র মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন, আমি আমার ছোট্র দেবোরের সাথে বিবাহ বসবো। মোরোল সাহেব মহা ধুম ধামে বিবাহ দিলেন। বিবাহ সম্পূর্ণ হলো এখন বাসার রাত এখন আমি কী করি বড় ভাই এর স্ত্রী এবং ভাবি আমার চেয়ে বয়সে ১৫ বছরের বড়। এখন আমি কী করে তার কাছে যাই এবং মুখ দেখাই। এলাকায় বাশির চাপে পরে  ভাবিকে বিবাহ করতে বাধ্য হয়েছি। ওদিকে আমার বিবাহের কথা শুনে জোলেখা কান্নাকাটি করতে থাকে, আমি ও বাড়ির বাইরে গিয়ে আমার প্রেম ভালোসার কথা চিন্তায় করে কান্নাকাটি  করি। এভাবে অনেক বছর কেটে গেল। আমার সপ্ন আমি মেটিক পাশ করে পুলিশের চাকুরী নিব। তাই চাকুরী কড়ার জন্য পুলিশের লাইনে দারাইছি।হঠাৎ মোরোল সাহেব পুলিশ অফিসার কে ফোন করে বললেন, ওই ছেলে বিবাহিত তাই শুনে পুলিশ আমাকে বললেন, ঘটনা কী সত্য, আমি বললাম হ্যা ছার আমি  বিবাহিত।বিবাহিত  মানুষের আবার পুলিশের চাকুরী হয় না তাই আমার সপ্ন পূরণ হলো না। একদিকে জোলেখা বিবাহ বসলো ওর দুই সন্মান হয়েছে। তাই শুনে আমি খুব খুশি হলাম, মনে মনে ভাবলাম আমার সাথে ওর বিবাহ হওয়ার কথা ছিল কিন্তুু হলোনা কী আর কড়ার আমার কপালে নেই।
হঠাৎ আমার ভাবি অসুস্থ হলো তথা আমার স্ত্রী। ডাক্তারখানা নিয়ে গেলাম, ডাক্তার বললেল, ইনি মা হতে চলছে। শুখের খবর শুনে আমি আনন্দে আত্মহারা। হঠাৎ আমার ছোট বোনের জন্য একটি বিবাহের প্রস্তাব আসে আমি মহা ধুম ধামে বিবাহ দিয়েদিলাম। একদিন আমার স্ত্রী প্রসাব বেথা উঠে পাশের ঘরের ভাবি  এসে বললেন, আপনার পুত্র সন্তান হয়েছে, তাই শুনে আমি শুকরিয়া আদায় করি।  তার কিছু দিন পড় বড় ভাই এর মেয়েকে বিবাহ দিলাম। আমি এম পাশ করছি চাকুরী কড়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। হঠাৎ চাকুরী হলো ইস্কুলে আমি এবং আমার পরিবারের সবাই আন্দদিত।
বয়স আমার মাত্র ৪০ বছর ভাবি তথা আমার স্ত্রী বয়স ৫৫ বছর যৌবন বয়স নেই তার আমি যে পরিপূর্ণ এখন যুবক আমার একটি বিয়ে করতে ইচ্ছে হলো কিন্তুু ভাবি তথা আমার স্ত্রী ভয়ে দুই নাম্বার বিবাহ করতে পারলাম না। এভাবে দিন কাল চলতে থাকে, আমার ছেলেকে লেখা পড়া করিয়ে চাকুরী দিয়েদিলাম এবং ভালো কনে দেখে বিবাহ করিয়ে দিলাম। এভাবে দিন কাল চলতে থাকে কিন্তুু আমার মনের মধ্যে খুত খুত করে আমি যৌবন বয়সী মানুষ আর আমার স্ত্রী বৃদ্ধা। আমি জানতাম না যে জোলেখা বিবাহ হওয়ার পরেও লেখা পড়া করে এমে পাশ করছে। একদিক আমারি ইস্কুলে ওর চাকুরী হয়। আমাদের ইস্কুলে পুরুষ টিচার দের কক্ষ আলাদা এবং মহিলা টিচার দের কক্ষ আলাদা। আমি ক্লাশের ফাকে ফাকে লুকিয়ে লুকিয়ে জোলেখা কে দেখতে থাকি এবং এক মুহুর্তে ওর সাথে আমার ভালো সম্পর্ক তৈরি

তৈরি হলো। একদিন আমি জোলেখা কে জিঙ্গাসা করলাম, তোমার স্বামী কী করেন দুই চোখের পানি ছেড়ে বললেন, আমার স্বামী দুইটি সন্তান রেখে মাড়া গেছে। তাই শুনে আমি অভাগ হলাম তার থেকে ওর সাথে ফোনে কথা বলা এবং ইস্কুল ক্লাস না থাকলে পাশে এক কক্ষে গিয়ে কথা বলি। একদিন আমি হাত ধরে বললাম, জোলেখা আমার সব ঘটনা তুমি জানো আমি এলাকায় বাশির চাপে পরে বড় ভাই এর স্ত্রী কে বিবাহ করতে বাধ্যে হয়েছি। তখন তোর প্রতি আমার ভালোবাসা কমতি ছিলোনা। আমার বড় ভাই এর স্ত্রী  তথা আমার স্ত্রী বৃদ্ধা হয়েগেছে। তাই আমি এক যুবক মানুক আমার দুই নাম্বার বিবাহ কড়া দরকার। তাই আমি চাইছি তোমাকে বিবাহ করবো। কিন্তুু জোলেখা রাজি হচ্ছে না, আমি অনেক দিন বুঝালাম তোমর দুটি সন্তান আছে তাদের ভবিষ্যৎ আছে। ওড়া দুই জনেই মেয়ে ওদের বিবাহ দিতে হবে। তার জন্য একজন ভালো অভিভাবক দরকার হবে।তার চেয়ে তুমি আমার সাথে বিবাহ বসো।জোলেখা রাজি হলো রাতের আধারে আমি এক মৌলভী ডেকে এনে বিবাহ সম্পূর্ণ করি।একদিকে ছড়িয়ে গেছে আমি দুই নাম্বার বিবাহ করেছি। তাই শুনে আমার বড় ভাবি তথা আমার স্ত্রী, বড় ভাই এর মেয় এবং আমার ছেলে পুলিশ নিয়ে এসেছে, তাই দেখে আমি আর জোলেখা পালিয়ে যাই। কিন্তুু কী আর কড়ার আমরা যে চাকুরী জীবি ইস্কুলে আসতে হবে। অনেক দিন ইস্কুলে আসিনি বলে প্রধান শিক্ষক এবং মেনেজিং কমিটি ফোন করে বললেন, আপনাদের দুই জনের চাকুরী চলে জাবে দূত ইস্কুলে যোগ দান করুণ। আমরা আপনাদের বিষয় টি নিয়ে দেখবো এবং সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।তার পরেরদিন আমি এবং জোলেখা ইস্কুলে ক্লস করতে যাই। ইস্কুল ছুটি হলো বেড় হবো, তখন চেয়ে দেখি আমার বড় ভাই এর স্ত্রী তথা আমার স্ত্রী, বড় ভাই এর মেয়ে এবং আমার ছেলে হাজির। আমি আর জোলেখা লজ্জা পেয়ে মাথা নতো করে রইমাম।
ভায় পেলাম কী জানি আজ হয় দশা বুঝি টাইট। হঠাৎ দেখলাম আমার বড় ভাই এর স্ত্রী তথা আমার স্ত্রী বেনিটি ব্যাগ থেকে দুটি ফুলের মালা নিয়ে এসে আমাদের দুই জনের গলায় পরিয়ে দিলো। আমি আর জোলেখা বড় ভাই এর স্ত্রী তথা আমার স্ত্রী কে জরিয়ে ধরে কেঁদে ফেলি।