ধরো –
তোমার জন্ম ১৯০০ সালের কোন অজপাড়া গায়েঁ ,
আমার রয়স সবে তখন তিন পেরোল বলে ,
আতুর ঘরে কন্যা হল তাই ,
তোমার বাবা পাড়সুদ্ধ খবর দিয়ে যায় ।


তোমার বাবা আমার বাবা ছিলেন দুজন মিতা ,
তাসের ঘরে আ্ড্ডা হত , জমে যেত কথা ।
দুই বনন্ধুতে ঠিক হল তাই ,
এবার তবে কন্যেটির নাম রাখা চাই ,
শুরু হল নামের খুঁজে কাব্য বই দেখা ,
অবশেষে নাম হল তোমার চিত্রলেখা ।


ধরো তারো বছর পাঁচেক বাদে-
তুমি সবে ধাঁরা পাতের অঙ্ক কষ বলে ,
হাসলে তখন টোল পড়ত ,
টোল পড়লেই মায়া ,
সেই মায়াতে আটকে গেল পড়শি ছেলের ছায়া ।


তখন কি আর জানা হত ,
এই মেয়েটি গুটি পায়ে আঠারতে যাবে,
পড়শি ছেলের মুগ্ধতা তোমায় ছুঁয়ে রবে ।


যখন তোমার ১৮ তখন আমার ২১ ,
তুমি হাঁটলে হাঁটতে থাকি , তুমি বসলেই বসি ,
পড়তে গেলেই অঙ্ক খাতায় তোমার ছবি আঁকি ।


পাড়ায় তখন গুজব এল ,
এই ছেলেটার কি জানি কি হল ,
পড়শি বাড়ির দুষ্টু মেয়ে ছেলের মাথা খেল ।


অথচ দেখ ,
তোমার – আমার জন্ম হল তারো প্রায় ১০০ বছর পরে ,
তুমিও রইলে মুখ ফিরিয়ে ক্ষণিক দূরে সরে ।