চলো আজ মেলায় যাই!
হ্যাঁ চলো;সেই কবে ছোটবেলায়
তুমি আমি লজেন্স খেতে খেতে মেলায় ঘুরতাম।
তবে চলো যাই, ঘুরে আসি একবার-
কোথাও তো আর বেরনো হয় না;
তুমি সেই বেগনি রঙা জামদানি টা পোরো কিন্তু!
দূর; সেটা আর মানায় এই বয়েসে!
যাহোক একটা শাড়ি পরলেই হবে।
বলো নাগরদোলায় চাপবে?
কি যে বোলো এখন আর সে বয়েস আছে!
তাছাড়া তুমি তো জানো আমার প্রেসার কতটা হাই;
তবে চলো কিছুতো একটা করি,ফুচকা খাই গিয়ে!
তোমার কি ভীমরতি হয়েছে-
লোকে দেখলে বলবে কি!
দেখো দেখো বুড়ো বুড়ির ঢং দেখো...।
তাও আবার ওই কচিকাঁচা ছেলেমেয়ে গুলোর সাথে?
তাহলে?
চলো ওই দিকের ওই গলিতে ঝালমুড়ি খাই,
ওই- ওইদিকে কিছুটা অন্ধকার মতো,
ওখানে দাঁড়িয়ে-
তোমার দেখছি মাথাটা একেবারে গেছে-
তার চেয়ে চলো ওইদিকের ওই গলিতে!
কি নেবে ওখানে?
ও তুমি বুঝবে না, চলো চলো-
তারপর আমি সখের মেলা দেখে ফিরছি!
কুলো, মাদুর, চালুনি, ঝাঁঝরি,হাতা,খুন্তি-
বাতের ব্যাথার তেল, মাথা যন্ত্রণা কমার মলম,
নাতিনাতনির জন্য গাদাগুচ্ছের খেলনা;
আর পোড়া মাটির শিব ঠাকুর!
দুইহাতে, কাঁধে উল্টে পাল্টে ঘামতে ঘামতে,
গ্রামের অন্ধকার পথ ধরে আসছি ফিরে,
ময়রার দোকান থেকে চুপি চুপি দুশো গ্রাম জিলিপি নিয়ে!
আর মনে মনে ভাবছি মেলা দেখার সংজ্ঞা-
কেমন ভাবে পাল্টে গিয়ে জিলিপির প্যাঁচ হয়ে গেছে।
হঠাৎ যেন কেমন একটা হাসি শুনতে পেলাম,
আমি কেমন যেন ভিমরি খেয়ে বললাম কি?
হাসছ যে বড়?
তুমি বললে কই নাতো, হাসবো কেন!
আমি ভাবলাম ঝোলার ভিতর শিব ঠাকুর
সেই বোধহয় হেসে ফেলেছে!
আমার এই ল্যাজেগোবরে অবস্থা দেখে।