হারানো পথে যদি খুঁজে পাও কোনোদিন,
মৃত জোনাকির অবিকৃত শব—
যদি দেখ শেষ আলো তখনো আছে জ্বলে,
নীথর শরীরের অলি গলি জুড়ে—
জেনো সকল তারার আলো নিয়ে সাথে,
হেঁটেছে সে বহুপথ—
মৃত শরীরেও কোনো এক প্রেমিকের চোখে,
চেয়েছিল যেতে বেঁচে—
বাতাসের তানে বেঁধেছিল সে কোনো একদিন,
একতারা জীবনের সংগ্রামী সুর—
দিতে চেয়েছিল স্বপনের সাগর নীল,
কোনো এক গহীন আঁধারে—
বিনিদ্র প্রেমিকের উষ্ণ মরু জুড়ে,
ঢেউ তোলা চোখের পাতায়—
খোলা জানালার পথে গিয়েছিল সে তাই,
অন্তহীন গভীরের বুকে।
মাকড়সারাও বেঁধেছিল ঘর শান্ত রাতের গায়ে,
লিখে দিতে বিষন্ন ইতিহাস—
এঁকে দিতে চেয়েছিল রস রক্ত শুষে নেওয়া,
স্বপনের কঙ্কাল ছবি—
তবু উপেক্ষায় ঝাঁকে ঝাঁকে জোনাকিরা গিয়েছিল,
স্বপনের ডানা মেলে—
শরীরের সকল তন্ত্রে জ্বালানো হাজার বাতির,
অমলিন আলো সম্ভারে।
তারপর মায়া জাল উপহার!স্বপনের সমাধি—
তবু শেষ আলো নেভেনি আজও,
শেষেরও অনেক পরে।
এরপর যদি খুঁজে পাও কোনোদিন,
টুকরো কোন আলোর ফসিল খন্ড—
কুড়িয়ে রেখো তাকে পথের ধারে,
তোমার ফিরে দেখা দৃষ্টির আগে,
পুরোনো সে চেনা হাতে,আবরও হাত রেখে,  
হয়তোবা পেয়ে যাবে আগুন উত্তাপ,
ক্যানভাসে ছড়ানো হারানো রঙের মাঝে,
ক্লান্ত তুলির অচেতন শেষ টানে।