কোনো এক ক্ষণে থামালে কেন বুঝিনি সে অভিপ্রায়!
আমি নিশ্চুপ হয়েছি তখন প্রকট সারল্যের ঘোরে,
তোমার বিক্ষিপ্ত আকাঙ্ক্ষার স্থিরতা ছিল না তখন,
তোমার সকল ‘না’ ছিল সদরের চৌকাঠে রাখা হাতে,
প্রতিরোধহীন খিড়কির দুয়ার ছিল হাটখোলা সুপ্ত চেতনায়।
আমি চুপ হয়ে গেছি,রেখেছি নিজেকে বেঁধে সভ্য শৃঙ্খলে,
আর থমকে থেমে গেছি তোমার কৃত্রিম আবেদনে!
পারিনি বুঝতে তোমার অবাধ্য করে তোলার আহবান,
তোমার তোলপাড় আন্দোলনের এঁকেছি ছবি পলকহীন—
নিষ্পাপ তুলি থেকে ঝরতে দিই নি কোনো কল্পনা,
আঁচড় কাটি নি কোথাও কোনো দূর্বোধ্য রেখা টেনে,
এ সব হয়তো শুধু সভ্য চেতনার দূর্বল সরল চিত্রায়ন।
পারিনি বুঝতে তোমার মুঠো হাত বাধার কারণ,
তা যে শুধু ছিল কৃত্রিম প্রতিরোধে ভেঙে দেওয়া—                  
দুর্বার বেগে ভাসিয়ে দিতে চাওয়ার সকরুণ আকুতি।
আমি তথাকথিত শিষ্টতার হিসেব করে গেছি শূন্যযোগে,
আবেগের আস্তরণের অবগুণ্ঠনে স্বঘোষিত অঙ্গীকারে,
তুমি চেয়েছিলে আমায় বেঠিক করে দিতে অহরহ,
চেতনার চারণভূমি জুড়ে সবুজের নির্মল চালচিত্রে।  
তুমি উদ্যত গতিপথ থামিয়ে দিতে চেয়ে নিয়েছিলে টেনে—
আরো উন্মত্ত উদ্দাম বেগে বেপরোয়া করে দিতে আমায়,
তুমি কান্নার ভাণ করে শুধু কেঁদেছিলে হাসি রেখে ঠোঁটে,
চেয়েছিলে বানভাসি করি তোমার সাগর গভীর চোখ!
তুমি অশান্ত উন্মাদ করে দেওয়ার ছলে শান্ত করেছ আমায়,
সম্মোহিত করে গেছ অকারণ ছলনায় প্রলাপ প্রহসনে,  
চাওনি যা,তার সব কিছু তুমি করে গেছ বার বার—
চেয়েছো যা,দু চোখের তারায় ছিল যে তা অবিকার,
পারিনি বুঝতে কখনো,ও সব তোমার গোপন চিত্রাভিনয়  ,
হয়তো এখন ঠিক বা বেঠিক কিছুটা যে তার বুঝে গেছি বোধহয়।
দেখেছি যা চেয়ে লালন করেছি,পালন করেছি অতি বাধ্যের মতো,
ওসবে তোমার ছিল না যে চাওয়া,পরোয়া ছিল না ওসব কিছু,
বুঝি নি যে তা শুধু খোলা চোখে, বুঝি নি তা অতশত।