বহুকাল ধরে নীল রক্ত জমে উঠছে চোখের তারায়—
চীনের প্রাচীরের মতো দৃশ্যমান শরীরের লাল আগুনের স্রোতে,
তাই চাতকের চিত্কার ওঠে আকাশের গর্ভগৃহে শূন্যমার্গ হতে!
বৃষ্টি হয়তো নামবে,তবু কোনখানে দেখবে না কেউ তাকে ভিজতে—
তারপর শুধু সিক্ত পৃথিবীর হৃত্পিণ্ডের শিরা উপশিরা হতে,
ঝাঁকে ঝাঁকে উইয়েদের উল্লাশী মৃত্যু মিছিল ছুটে যাবে ঠিকানাহীন!
ঝাপসা অরণ্যে ক্ষুধার্ত সাপেদের সাথে তখন আমি বড় একা বেমানান সহযাত্রী,
তবু তাদের জড়ানো বাঁক খাওয়া শীতল শরীরের সাথে ছুটে চলি,
অনাসৃষ্টির আঁকা বাঁকা পথে দাবানল নীল দৃষ্টির অন্তহীন উন্মাদ বেগে!
সর্বনাশ,শুধুই সর্বনাশ! সে যে অবিরত ঢুঁ মেরে চলে চেরা জিভের ফাঁকে,
হদিস মেলে না তবু তার,কোনো নগ্ন শরীরের আতালি পাতালি  ঘুরে!
শুধু গর্ভাশয় হতে শ্মশান ঠিকানার পরিধি জুড়ে অনভিজ্ঞ ঘুরপার,
কেউ ডাকে নি কোথাও, যেতেও বলেনি কেউ কোনো খানে,
তবু অনন্ত ছায়ার মতো মিশে যাই গভীর সঙ্গমে রাতের বুকে,
তারপর গড়িয়ে গড়িয়ে দোল খাই আগ্নেয়গিরি স্ফুলিঙ্গের মতো,
এতো আগুন, এতো স্রোত, এতো জীবন্ত লাভা, তবু শেষে সেই—
অনুর্বর ঝুর ঝুরে মালভূমি হয়ে জন্ম নিয়ে ফেলি পাহাড়ের বুক চিরে,
আর যেন কোথা হতে কোনো লুকনো শরীরের চলমান ছায়া ওঠে জেগে,
তখন সদর্পে উড়িয়ে দিই বিজয় পতাকা, অজানা কোনো যুদ্ধ জয়ের।
তারপর প্রতি পলে অচেনার দল অগম্য যাত্রায় হয়ে ওঠে বিশৃঙ্খলিত,
হয়তো আমি শুধু তাদেরই মতো একজন শরীরের লাল আগুনের স্রোতে,
জমিয়ে তুলছি নীল রক্ত প্রবাহ অদম্য কামনার লালায়িত হাতে হাত রেখে,
ধ্বংস কিংবা সৃষ্টির কারণ অকারণের মাঝে অনাহূতের মতো—
একা, একদম একা!হয়তো কিছুটা অন্যভাবে!!