কবরে শায়িত এখনো একই আছে শরীরের খড়কুটো,
শুধু শোষিত রক্তে বিস্তৃত শাখা প্রশাখা বুকের পরে,
রূপান্তরিত সে শরীরে শুধু অনাশ্রিতের অনন্ত আশ্রয়!
আমার সে শরীর কেন ছুঁতে চায় তোমার অনুক্ত ইতিহাস,
অতীত গর্ভ হতে কেন এতকিছু নির্যাস চায় যেতে শুনিয়ে!  
এখন তোমার অবসন্ন নিঃশ্বাস!থামো এবার, কি প্রয়োজন আর?  
অতীত উদ্ভাসিত যৌবন,আজ চিহ্নে চিহ্নে পাকিয়েছে জট,
তোমার ভঙ্গিল ক্যানভাস—স্থিরস্থিতিতে বরফ জমাট!
প্রয়োজনের অনেক কালের পরে এ শুধু শস্যের হলুদ ক্ষেত।  
কতকাল শুয়ে আছি মাটির নীচে,তবু শুনি কান পেতে,
নমাজের আহ্বান, কীর্ত্তনগান, কেউ বলে বুদ্ধংশরণংগচ্ছামি,
বিস্ময় জাগে তাই,!এখনো আমি সেই সর্বংসহা, আগের মতো—
শেকড়ের কর্ষিকা অস্থিমজ্জার শেষটুকু এখনো নেয় শুষে,
তবু বলো!যত থেমে যেতে চাক তোমার ধারাসার,
রক্ত ছড়ানো যবনিকায় যে নাটক তখনো হয়নি শেষ,
যে ভাবেই হোক তার আদ্যপান্ত নেবো আজ শুনে,
এখন যে হারানোর কিছু নেই!পেতেও চাই না কিছু আর,
রূপান্তরিত শরীর ছুঁয়ে বাকি সব অনাহুতের মাঝে,
তুমিও যে শুধু এক তাদেরিই মতো অপরিচিত আগন্তুক!
চেয়ে দেখ কত অনন্ত আশ্রয় আমার শরীরের সবজুড়ে,
যদি তুমি চাও—পেতে পার ঠাঁই তারি কোনখানে,
ভগ্ন অবয়বে এবার এখানেও যাও মিশে অভ্যস্ত কোলাহলে,
কবরে আমার নেই কোন খালি জমি, নির্বান্ধব এখানেও—
এখানেও শুধু থাকি আমার সাথে আমি, এক অনাবিষ্কৃত সুখে,  
হয়তো বা তাই মনে হয় বান্ধব হীন নই কখনও.....!!!!