বৃথা প্রতিজ্ঞায় কেন ঘোর অন্তহীন পথে?
ফিরে দেখ—কত পাড় ভাঙে নদীর বুকে—
লাল মাটি শরীরের সোঁদা গন্ধে,
কত শত চুম্বন আঁকে বন্য যুবতী বাতাস,
জ্বলন্ত সূর্যের আগুনে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে ভেজা ঘাম তখন শুধু—
লাগামহীন দুরন্ত বিসুভিয়াস লাভা,
তারপর চুপিসারে নিরাবরণ শরীর!
হয়ে যায় ঘুমন্ত রাতের উপত্যকা।
তাই হয়তো তখন জোনাক আলো—
যায় নিভে বেদুঈন বাসায়!
হয়তো সাহারার বালিচাপা ক্যাকটাস,
জেগে ওঠে মরু যাত্রীর পায়ের তলায়,
বন্য বাতাসে পরাগ রেণু যায় ঝরে,
দোল খায় সবুজ শস্যের ক্ষেত।
তবে কেন বৈভব হীন, হে সন্ন্যাসিনী—
সাইবেরিয়ার শীতল পাথরে বসে,
গলে যাওয়া বরফের হিসেব যাও কষে।
কেন শুধু তুলে দিতে চাও অপরিচিতার পানসিতে!
শাল পিয়ালের ওই পারে আবছা আলোর দেশে—
শুধু ফিরে এস একবার শর্তহীন আগের মতো,
হয়তো এখনো পাবে দেখা—
মৃত শরীরের জীবন্ত কঙ্কাল কিংবা,
অভিমানী শরীরের ছায়া—
হয়তো সব পেয়ে যেতে পার সবই আগের মতো।
ব্রহ্মচারীর কমণ্ডলু হতে......!!!!