আধখানা ভূপৃষ্ঠের আলোহীন প্রান্তরে—
অস্পষ্ট কোন এককোণে,
দুয়ার যায় খুলে,
ছুঁতে চেয়ে চোখের তারায়—
মরীচিকাময় আগুনে বাতাস!
তবু সে শুধু পরকীয়া ছলনায়—
দোল খায়—খেজুরের চেরা পাতায়,
মায়াজাল বুনে জোনাকি আলোর স্রোতে!
ঝিঁঝিঁদের করুণ আকুতি,
দূর বহুদূরে—ভেসে চলে নিরুদ্দেশে,
চাঁদের বুকে ছোটে,
জমাট কালো ঢেউ মেঘ,
বাবুইয়ের বাসাতেও—
তবু জ্বলে থাকে আলো,
আধপোড়া সলতে শরীরের,
শেষ আগুন আলিঙ্গনে!
একমুঠো বাতাস তবু ছুঁতে চেয়ে,
শুধু জেগে থাকে চোখের তারা—
বিজুলি অলঙ্কারের সাজে,
অবাধ্য দাবানল হতে চেয়ে,
বিস্তৃত অবয়বহীন আকাশ শরীর জুড়ে!
হয়তোবা তাই শিশির ধোয়া,
সবুজ ঘাসে,নগ্ন পায়ের ছাপে—
অশ্লীল হয়ে ওঠে চোখের তারা—
করুণা প্রত্যাখানে তৃষ্ণা মেটায়,
বিষ কলসীর মুখে মুখ রেখে,  
অহংকারী মৃত্যুঞ্জয়ী অমৃত—
তাই হয়ে ওঠে ঠিকানা হীন,
হাহাকার করে ব্যর্থ জীবনের গ্লানি মেখে—
অসহিষ্ণু উপগ্রহে!
তারপর যদি বোজা থাকে চোখের পাতা,
বন্ধ কপাটের ওই পারে,
খুঁজতে যেও না আর—
খোঁজ না কখনো কোন অভিসারে।।