তুমি পরমাত্মীয়ের মতো নির্ভয়,সঙ্কোচহীন ক’রেছ আমায়!  
অসীম বৈভব,তবু তুমি বিলিয়ে দাও অহঙ্কারহীন,দ্বিধাহীন—
তুমি নিঃশর্ত ডেকেছ আমায়,বাড়িয়েছ হাত অনাবিল ভাল’বেসে,
উজাড় করে জড়িয়ে নিয়েছ অমলিন আলিঙ্গনে!
অতি দীনতাও সমান পেয়েছে অধিকার সবটুকু জুড়ে,
তোমার মহানতা সে যে সীমাহীন,বড় খাদহীন—
তাই স্পর্ধা পায় তোমার অগম্যতায় যাওয়ার লিপ্সা,
ওই বিস্তৃত অন্তহীন শরীর সংজ্ঞাহীন শুদ্ধতায় ভরপুর!
কতকাল কতজন  গেছে ফিরে,দিয়েছ ফিরিয়ে অনাহুত ভেবে—
আজ পেয়েছি যে অতি সৌভাগ্যের জাদুকরী দীপাগার,
সুযোগ দিয়েছ অপার্থিব সুখে মগ্ন থাকার,স্নিগ্ধ বাহুবন্ধনে!  
আর চাই না কিছু! চাইতেও যায় না যে পারা কোনভাবে—
শুধু দুচোখের বন্ধ পাতায় নীরবে পেতে চাই স্বর্গের সব সুখ,
তারপর শুধু থেকে যেতে চাই অনুভবের উত্তরণে!
থেকে যেতে চাই স্নায়ুতন্ত্রের নতুন খবরে,
একটুও কালো নেই, নেই কোন অন্ধকার যেথায়!  
দিকচক্রবাল ওখানে যে আঁকেনি কোন কালো রেখা—
অনন্ত আলোময় রাজ্যের সীমা নেই কোন,
আদি অন্ত শূন্য,বিলুপ্ত চেতনায় আমার এ নতুন ঘরে—
অন্য আমি রুপে থেকে যেতে চাই তোমায় ছুঁয়ে!
যদি কোন জীবনের শেষ থাকে কোন খানে! তারপরও—
সেই শেষেরও শেষের পরে, তোমাতেই—চিরতরে!