তবে—মাঘী রাতের শীতলতার মতো—
একেবারে লাগামহীন কাঁপুনির মতো এসো এবার,  
পেতে পার আগুন রঙের বৈশাখী উষ্ণতা উপহার!
আর নেই কোন দুর্বল আদিখ্যেতা দেখানোর দায়—
কবিতার সাধারণ শব্দ এখন বেশ অসামাজিক,
জন্ম দিতে পারে—কঠিন ভাষা,তোমার ইচ্ছের মতো!
সরল রৈখিক পথে আর নেই কোন অবিরাম বাধা,
নেই কোন জবরদখলী অভিভাবক চোখ—অনধিকারে!
এখন সময় বাঁচাতে পারি বেশ সহজিয়া ঢঙ্গে,
তাই আলোর পথ চলার মতো চলি চিন্তাহীন বেগে—  
শরীরের লাগামহীন রক্তস্রোতের মতো বেপরোয়া!
থামিও না কোনখানে নিতান্ত সৌজন্যে!দায়ও নেই কোন,  
বিন্দু বিন্দু ঘাম এখন বৃষ্টির মতো জড়ো শরীরের পরে—
কৃত্রিম ভদ্রতায় চাই না মুছতে তার কোন কণা আর,
এখন সে গড়ে দিতে পারে ঝরনা নদী,সাগর, মহাসাগরও
দেয় সে সুযোগ শ্রমহীন ভাবে ভেসে থাকার অধিকার,  
এখন সে বেশ পরিপক্ক্, বেশ সুস্বাদু তৃপ্তি!
তাই নির্ঝঞ্ঝাটভাবে সব কিছু পারা যায়,
শব্দ বিভঙ্গে কিংবা ভাষা ইঙ্গিতে, যে পথেই তুমি হাঁটো—
ভিতরের দাবানল আন্দোলন যে ভাবেই ওঠে উঠুক,
ঠিক মুঠো করে ধরে ফেলা যাবে সব ঝড়,
থামতে হবে না আর কোন ভদ্রতা সীমাশূন্যতায়,
এখন আমি উদ্বেগহীন নিশ্চিন্ত,পরিপূর্ণ অসামাজিক।
তাই আগুন ইচ্ছের বুকে দাঁড়িয়ে পড়ি সহজেই,
ভাবনা কাঁদুক সমাজের সব বন্ধ ‘না’ এর ঘরে,    
ওসব এখন অতীত দ্বিচারিতা তাই হাঁটি সোজাপথে,
উড়ে চলি অবকাশহীন ইচ্ছে ডানায়।