নদী ঘাটে চুপিচুপি নেমেছে দুপুর,
ধূসর তিতির ছোটে বাঁশ ঝোপ ছায়ায়—
দোয়েলের শিশে ওই উদাসী বাতাস,
নীল জলে শিহরণ,ঢেউ তুলে ছুটে যায়!


যুবতীর কাঁখে ভরা কলসীর জল,
উছলি লুটায়ে পড়ে—মাখে বাধাহীন সুখ—
জামরুল রসে হলুদ কুড়ালি ঠোঁট,
প্রেমে ভাসে সরালীর রাঙা চোখ মুখ!


আলপথ মাঠময় রোদ মাখা ধানশিষ,
শাপলা শালুক বনে ছোটে ডাহুকের ছানা—
বুনো মাছরাঙ্গা ধ্যানে আধ বোজা চোখ,
ছায়া ঘেরা বনপথে ওড়ে বাঁশপাতি ডানা!


বকুলের ঐ শাখে চোখগ্যালো কত ডাকে,
নদী তীরে চখাচখি শুধু করে হায় হায়—
পাকা আমের ডালে হীরামন খায় দোল ,
এক ঝাঁক হরিয়াল খেজুরের রস খায়!


বসন্তবৌরি ডানায় বসন্ত আগমনী,
মৌটুসি কাটে ছড়া লুকিয়ে মাধবীলতায়—
প্রথম শাড়িতে হাঁটা কিশোরীর রাঙা ঠোঁটে,
এ দুপুর রোদছায়া শুধু যে স্বপ্ন ভাসায়!


তবে যে তুমি বল এ দুপুর নয় ভালো,
তবু কেন যেতে চাও সুদুরের সেই গাঁয়—
আমার সে গাঁ জুড়ে চড়ুই কি সুখে ওড়ে,
দোল খায় বাবুই বাসা, তালের পাতায়!
কত রঙ আছে সেথা কত পাখি কয় কথা—
তবে চল একসাথে সুদূর সুখের সে গাঁয়! .........!!!!