হেমন্তের কুয়াশা মেখে—
যেন সদ্য স্নাত, সিক্ত সকালের পৃথিবী!
দিকচক্রবালে সবুজ তখনো-
বেশ কালো রাতের আবেশে;
সকালের আলপথ যেন গুহা-সুড়ঙ্গ;
ভেজা ঘাসের শরীর!
নিরুদ্বেগ হাঁটছি—
অসামতলিক বিমূর্ত উপত্যকার বুকে;
এ যেন এক অযান্ত্রিক শরীর;
টেনে টেনে বইছি বহুপথ;
তোমার ঠিকানা পাবো হয়তো তাই—
হয়তো কোথাও কোন বেনামি ভূখণ্ডে;
দেব দানব মানবহীন তোমার একলা থাকা দ্বীপে।
দিব্যি কেটে বলছি!
কেউ এগিয়ে আসেনি তোমার ঠিকানা দিতে—
তবু খুঁজে গেছি নিরবচ্ছিন্ন রক্তপ্রবাহে;
অজস্র জীবন একসাথে জড়ো করে;
স্থান হতে স্থানান্তরে।
শুধু পূবের আকাশ;
সলতে পাকিয়ে বসেছিল একা অবগুণ্ঠনে;
শুধু একমুঠো আলো দেবে বলে;
তাই হাঁটছি এখনো-
আদিম কোনো যাত্রীর পায়ের ছাপে রেখে পা।
ধানের গোলা ভরে যাবে এরপর—
নবান্নের উচ্ছিষ্ট খেয়ে গর্ভবতী হবে;
সাদাকালো সব পাখি;
তারপর উড়ে যাবে সাইবেরিয়ার পথে!
হয়তো তখনোও আমি হেঁটে যাবো—
অন্তহীন সে অজানা ঠিকানার পথে;
শুধু পূব আকাশের একমুঠো আলো হাতে-  
পৃথিবীর মতো হেমন্তের কুয়াশা মেখে,
একদিন ঠিকই পৌঁছে যাবো;
তোমার একলা থাকা দ্বীপে;