চারিদিকে অবাক বিস্ময়ে তাকাই আর ভাবি-সময়, হয়তো বিশ্বস্ত সময়,
কি করে এতোটা বেইমান হয়ে গেল, কি করে সম্ভব হয়
প্রেয়সীর মতো এতোটা ঘনিষ্ঠ হাওয়ার
হঠাৎ করে টক্সিক হয়ে যাওয়া, মাতাল হয়ে যাওয়ার
মতো অঘটন কার গোপন ইশারায়
ঘটে, কে আমায় বলে দেবে হায়!
মড়কের বিধ্বস্ত ইঁদুরের মতন
কেন পড়ে থাকে এক সময়ের ছিমছাম গোছানো জীবন
এখানে সেখানে -
বিলে-ঝিলে নদীতে পানার ভেতরে, গমক্ষেত কলাবাগানে
কিংবা হয়তো সময়ের কানাগলিতে, সে শরীরকে হয়তো কোন দিনও
আর দেখা যাবে না। তোমরা কি আমার মতো শোনো
সময়ের কান্না, মৃতের আর্তনাদ
কোন আকাশ কি করবে বজ্রের মতো কোন তীব্র প্রতিবাদ
আজ এই সময়ের, এই হাওয়ার বিপরীতে যেয়ে
আনবে কি সহসা বয়ে
কোন শিলাবৃষ্টির মতো তুমুল যুদ্ধের তুফান
মানুষ কেন এত অসহায়, কেন হতাশার সমান
হবে, কেন সংগাহীন হবে তার জীবন, প্রিয় স্বপ্নের  কাঁপন
কিংবা আরো সংগাহীন তার সাদামাটা যাপন
হয়ত আমার মতো বলবে- জীবন যেখানে গন্ডির দশায়
পড়ে থাকে, কাজ যেখানে মাত্র জীবনের দায়
যেখানে চোখের কথা বলা বারণ
যেখানে ঠোঁট ফাঁক করার কারণ
কেবলই কোন বৈধতার সনদ খোঁজে দিনেরাতে
যেখানে চিন্তা-ঘুড্ডির সূতা থাকে অন্যের হাতে
নিরন্তর নিয়ন্তার মতো, যেখানে লাওয়ারিশ সব কাব্যিক অপরাধ
কেবলই ইচ্ছার অজুহাত
হয়ে যায়, যেখানে ঘটনা এতটাই
বাস্তুহীন, একেবারেই হাওয়াই;
কিছু না, যেখানে সাক্ষি সময়ের জারজ কোন ডিজিটাল ডল
পরিণতি যেখানে কেবলই ইচ্ছার ফসল
হয়ে যায়, যেখানে সুখের ঘরখানা হয়ে যায় কারো ইচ্ছার কারাগার
রুটিন খাবারগুলো বিষাক্ত কোন বিচ্ছু কিংবা দানব মাকড়সার
ন্যায় তাকিয়ে থাকে রাতদিন
সেখানে জীবনের সংগা খোঁজা একেবারেই অর্থহীন
নিতান্তই অর্থহীন।