বহুদূর থেকে এসেছি আমি কোন এক ইবনে বতুতা
এই স্বপ্নের কিংশুক নগরীতে একা;
দুচোখের তারায় কিছু ছবি এঁকে নিব
একে একে খুলে দিব
হৃদয়ের, মনের, মগজের সবগুলি দুয়ার
এঁকে নিব সুলতানের ‘মৎস্য শিকার’
অথবা চেরিকোর ‘রহস্যময় আগমন’ আর
যদি কিছু পাই তার সাথে;
ভালোবেসে কেউ যদি হাত রাখে হাতে-
ক্লিওপেট্রা, উর্বশী কিংবা কোন বনলতা সেন
হৃদয়ের উষ্ণতা যদি খুঁজে পাই, যদি হয় লেনদেন
কোন অগোচরে
অলস বিকালগুলো ওরে
হাওয়ায় মিলাবো তখন
বাউল কোন এক কবির মতন


কিন্তু হায়! এখানকার সূর্যাস্ত কখনও আবিরের ছন্দ
ছড়ায় না। বাতাসে যায় না পাওয়া হুদয়ের গন্ধ
এখানে শিমুল কিংবা পলাশের রঙে
মানবীয় যাপন কেবলই আটপৌরে ঢঙে
বিন্যস্ত দিকেদিকে;
তা সব কেবলই মিছে, কেবলই ফিঁকে
আবার কখনোবা দানবীয় বটে
তাই এখানকার অলস বিকালগুলো কেবলই অকপটে
চেপে বসে বুকে জগদ্দল পাথরের মতন
দিনরাত সারাক্ষণ


হৃদয়ের ঘুলঘুলি এখানে বন্ধ সবার
এক পৌরাণিক অন্ধকার রাজ্যে সকলের অস্তিত্ব একাকার
যেন; কেবলি রহস্যময় আনাগোনা, অতিআজব, অদ্ভূত
যেন ঘাতক কোন ভাইরাস কিংবা সুলতান মাহমুদ
তাই এক প্রান্তে একান্তে বসে
ভাবি, কেবলই ভাবি বিষাদে-হরষে -
আমি কি নাই এই সময়ের ভেতরে!
আমি কি নিতান্তই অবাঞ্ছিত এই কিংশুক নগরে?
এই নগরের ভেতরের নগরে!