জানি, নাতাশারা সারাজীবন নাতাশাই থেকে যায়                                                    
রূপশালী সময়ের চত্বরে কেবলই ঘুরে বেড়ায়
মুখ ভর্তি মেকি রূপ নিয়ে নাতাশারা
এখানে সেখানে, যেখানে চায় তারা       
স্বপ্নের খোঁজে তারা কেবলই স্বপ্ন ছড়ায় 
আর অজানার পানে অদৃশ্য দুহাত বাড়ায়
নাতাশারা সারাজীবন কারো হয়না
তারা অন্তরের কথা কখনো কয়না
কারো সাথে। তাদের অন্তরে শুয়ে থাকে নির্বিকার
হাসুদের মমি, আর গল্প তার
ফেরিওয়ালার মতো কেবলই ঘুরে ফিরে
পার্কে পার্কে বিকেলের লেকের তীরে
সেই কংক্রিটের বেঞ্চটির পরে 
এক নিবীর্য সময়ের হাত ধরে
কখনো বসে থাকে অভিমানী গল্প; নীরব-নির্বিকার
ঠিক যেখানে আটপৌরে জীবনটি তার
এক অচেনা গল্পে রূপান্তরিত হয়ে যায় 
পাঁচ বছর আগে একদিন এক কাল-বেলায়
নাতাশারা বিবেক-বর্জিত এক মায়াবী আলো;
বাহিরে রূপের ছটা, ভেতরে লালসার কালো
কেবলই মিথ্যার আলো ছড়িয়ে
কেবলই কুয়াসা-মায়া বাড়িয়ে
পথ চলে পথ চলে..........
তারা জানে না, তারা কী বলে
তারা জানে না, তারা কী চায় 
কেবলই জীবন মাড়িয়ে মাড়িয়ে চলে নিয়তির  অপেক্ষায়
এক অনিশ্চিত জীবনের পথে 
তাদের ভালোবাসার ক্ষমতা নেই কোনমতে
তারা কেবলই অন্যের আলোকে খুন করে
যত অন্ধকার শুষে নেয় নিজের ভেতরে 
তারা এক অন্ধকারজীবী
ঝলমলে আলোতে যেন এক ব্যর্থ দেবী
নিরন্তর জীবনের অর্থ খোঁজে দিক-দিগন্তে
জীবন তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় গলি থেকে গলিতে
আরো দূর অন্ধকারে, আরো গভীরে
নিয়ে যায় ভয়ংকর কোন খাদের তীরে
তারা কেবলই নাতাশা,সারা জীবন নাতাশাই থেকে যায়
তাদের ভেতরে মমি হয়ে শুয়ে থাকা হাসুরা কোন এক সুবেলায়                              
আর হাস্নাহেনা হয়ে ফোঁটে না
কখনো ফোঁটে না
………………………..                                                                                                                               (ইউটিউবে ‘নাতাশা চরিত’ নামে একটা বাংলাদেশি নাটক দেখে লেখা।)