অনেক্ষণ বসে আছি  সূর্যকে বিদায় দেয়ার অপেক্ষায়
অতঃপর সে বসেছে পাটে। আমাকে বিদায়
জানিয়ে সে অনেক দূরে চলে যাবে
আমাকে কাংখিত আঁধারের ভেতরে রেখে। আমার দৃষ্টি পাবে
শুধু এক নির্ভেজাল আঁধারের রূপ। তিনদিকে বনানীঘেরা
ঠিক পেছনে কিছুটা ধান ক্ষেত। ইতোমধ্যে বনানী-ধানক্ষেতেরা
যুবতী সন্ধ্যার আঁধারের ভেতরে
আরো গাঢ় জমাটবাঁধা ছোঁপছোঁপ আঁধারের মতো করে
বড় নিশ্চিন্তে মিশে আছে
আমার ঠিক সামনে একেবারে কাছে
মধ্য বসন্তের ভাটার নদী ব্যাকগ্রাউন্ড সঙ্গীতের মতো
কুলু-কুলু স্বরে বয়ে চলে সাথে নিয়ে যত
সুর আর গান, জলের মতো শরীরখানাকে আঁধারের সাথে
একেবারে মিশিয়ে। আর আমি এই নিকস কালো রাতে
সকল আঁধারের সাথে ভালোলাগা নিজের আঁধার
মিশিয়ে বসে আছি একাকার;
দূরের তারকার সাথে চোখে-চোখে কথা বলি
অতঃপর তোমার স্মৃতির গলি
ধরে সহসা ফিরে আসি আপন স্বত্তায়
শরীরের চেনা গন্ধ মিশিয়ে বসন্তের হাওয়ায় হাওয়ায়
অতঃপর তুমিও এলে; প্রিয় চেনা গন্ধ আমাকে ঘিরে ধরে
চারিদিকে। আমার আঁধার শরীরে
তোমার হাওয়ার শরীরের প্রবহমান মোলায়েম পরশ পাই
আমি হাওয়া আর আঁধারের মাঝে হারিয়ে যাই
কিছুক্ষণের জন্য আমার আমিকে একেবারে হারাই
সাথে নিয়ে আঁধারের শরীর আর সুগন্ধী হাওয়ার মন
কেননা, অন্ধকার স্বত্তায় তুমিতো হাওয়ার মতন