১. 
অস্থির এক চৌচির সময় এখন সকলেরে নিয়ে অবিরাম খেলা করে
উল্টে-পাল্টে দেয়, চেহারা সাল্টে দেয় আপাদ-মস্তক নিষ্ঠুর হাতে
প্রতিটি জীবন যেন বড়বেশি এলামেলো; সিডর-ধর্ষিত প্রকৃতির রূপধরে
নির্জীব পড়ে আছে আনাচে-কানাচে, ভাবনার আগুনে উত্তপ্ত রাজপথে
সময়ের চাবুক-তাড়িত অস্থির বেসামাল সংসারে সকলেই যেন আজ
কোন না কোনভাবে নিজেকে বন্দী করেছে নিজের কাছে এক অসম শর্তে
সবকিছু ত্যাগ করে সেজেছে সন্ন্যাসী, ভুলেছে অবলীলায় করণীয় কাজ
যেন এইটুকুই দায় তার; একেবারে শূন্য হয়ে তবুও বাঁচতে হবে কোন মতে


২.  
আজব সময়ের আজব খেলাঘরে আজ অতিআজব এক পরিবেশ;
কোথাও আলো নেই, কোথাও আধাঁর নেই- এমন এক ঐন্দ্রিজালিকতায়
ঝুলন্ত কুয়াসার ভেতরে ডুবে আছে সকলে-ঘুমহীন জাগরণহীন এক আবেশ
কেহ কারো দেখেনা, চেনেনা, আপন-পর জ্ঞাতিবোধ যেন ফসিল-দশায়
আফিম-দশাগ্রস্ত জাতি আজ পরস্পর বিরোধ-আদল, যেন অতিবিভ্রান্ত
স্বত্বায় চেতনায় ভাবনায় সর্বত্র সর্বকালে দিশাহারা বিপন্ন বাতাসের ন্যায়
সবকিছু ছিল তার একদিন, হয়তোবা আছে-কেবলি আলঝেইমারে আক্রান্ত;
শক্তি নেই, স্মৃতি নেই, বিশ্বাস নেই, সবকিছু বিলীন এক বিষাক্ত হাওয়ায়


৩. 
আমরা সকলেই এক আজব বন্দী ইচ্ছা-অনিচ্ছার বাইরে সময়-খেলাঘরে
বন্দী আপাদ-মস্তক প্রাণ-প্রজ্ঞা,স্বপ্ন-সাধ্য, আস্থা-বিশ্বাস-সবোধ সাকুল্যে
চারিদিকে ভাটির মহাটান কেবলই; সংসারের  সকলেরে একেবারে শূন্য করে
দিব্যি রাতজাগা নদী চলে যায় এক অনিশ্চিত অনন্তের দিকে অসীমের মূলে
আবারো কি আসবে ফিরে স্বপ্নের ঝোলা বুকে নিয়ে জোয়ারের গাঢ় উচ্ছ্বাসে
আমাদের মাঝে একদিন প্রিয় স্বপ্নের কাছাকাছি এই আমাদের পরিচিত দুয়ারে
হয়তোবা আসবে, হয়তোবা চিরঅভিমানী আর কোন দিন ফিরে আসবেনা সে
তবেকি আমরা কেবলই পড়ে থাকবো অস্থির সময়ের দিশাহারা গহীন আঁধারে!